মতামত

মানুষ ও ঈশ্বরের জন্ম রহস্য

— কাজী তানভীর হোসেন

শ্রম বিভাজনের শুরু হতেই আমরা খুঁজে পাই একদিকে কায়িক শ্রম, অন্যদিকে মানসিক শ্রম। এই প্রথম মানসিক শ্রম বিভাজনের মাধ্যমে সেই ব্যাক্তি, যিনি মানসিক শ্রমের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তিনি উপলব্ধি করলেন, এমন কিছুর তিনি প্রতিনিধি – যার অস্তিত্ব আছে, কিন্তু তাকে দেখা যায়না। মার্ক্সের জাজমেন্টে, একটি স্বাধীন ও পৃথক সত্ত্বা হিসেবে চেতনাকে চেতনা হিসেবে উপলব্ধি করার বোধ এখান থেকে জন্মায়।   শরীর বিহীন চেতনার উপলব্ধির এই তত্ত্বে যথেষ্ট চিন্তার খোরাক আছে৷ তবু—  তত্ত্বটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আদিম মানুষ জীবের স্তর থেকে হাতিয়ার ব্যাবহার ও শ্রম বিভাজন শুরু করেছিল, এটা একটি সমাজবিপ্লবের ইতিহাস এবং চিন্তার বিপ্লবের তো বটেই! কিন্তু এটি এমন কোনো আহামরি ঘটনা নয়, যা মানুষকে এতবেশী বুদ্ধিমান করে তুলবে যে- চেতনার প্রতিনিধিত্ব দ্বারা চেতনার অস্তিত্ব উপলব্ধি সম্ভব হবে।  বরঞ্চ আমরা স্টিফেন হকিং এবং ডারউইনের সাথে একমত হতে পারি। আদিম কালে মানুষ ভেবেছিল, প্রকৃতি স্থির। কারণ আপেক্ষিকভাবে এটি সত্য। জীবের স্তরের মানুষের সহজাত প্রবণতার সাথে এই আপেক্ষিক হিসেব-নিকেশ খাপ খায়। তাই তারা ভেবেছিল বিশেষ বিশেষ পরিবর্তন কোনো কর্তারই কর্ম। ডারউইন তার ‘ডিসেন্ট অব ম্যান’ বইয়ের শেষাংশে তার কুকুরকে উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহার করেন। যখন দূরে গাছের পাতা কিংবা পর্দা নড়ছে তখন কুকুরটি ঘেউ ঘেউ করে চেঁচিয়ে ওঠে। কুকুরের স্বাভাবিক টেন্ডেন্সি দ্বারা ব্যাখ্যা করলে বোঝা যায় যে, কুকুরটি ভেবেছিল কেউ পাতাটি নাড়িয়েছে এবং তাকে দেখা যাচ্ছেনা। এর থেকে শরীর বিহীন চেতনার উপলব্ধি জন্মানো সম্ভব এবং আদিম মানুষের জ্ঞানের সীমার সাথে এই উপলব্ধি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ডারউইন দাবি করেন এখনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা সভ্য জীবন থেকে দূরে রয়েছে, যারা স্বপ্ন এবং বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেনা। ফ্রয়েডের লেখা একটি দৃষ্টিভ্রমের ভবিষ্যৎ’ ও ‘স্বপ্নঃ মনোসমীক্ষণের ভূমিকা’ বইগুলোতে ব্যাখ্যাত স্বপ্নের বিকৃতির সঙ্গে  ‘মানব প্রজাতির স্বরুপ অন্বেষা’ বইয়ে হিউমের ‘যৌগিক-ভাব’ এর সমন্বয় করলে আমাদেরকে তত্ত্বটি আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। কর্তা ঘুমালে স্ব-চেতনা লোপ পায়। জেগে উঠলে আবার সে সচেতন। মাঝখানে শরীর রয়ে যায়, কিন্তু এই চেতনা কই যায়? দেহ থেকে বেরিয়ে কি অন্য কোথাও সে ঘোরাফেরা করে? মারা গেলে এই চেতনা চিরতরে লোপ পায়। তখন চেতনা কোথায় অবস্থান করে? এই প্রশ্নটিও স্বতন্ত্র চেতনার উপলব্ধি জন্মায়।
আজ আমাদের আধুনিক পদার্থবিদ্যার সাথে হেগেলের ডায়ালেক্ট, বিবর্তনের ইতিহাস, মানুষের সমাজ-ভাষা ও সংস্কৃতির ইতিহাস, হাইড্রোকার্বন জৈব-যৌগ ও প্লোটোপ্লাজমের ইতিহাস, ফ্রয়েডীয় মনোবিজ্ঞান, কার্ল পপারের বিবর্তনবাদী জ্ঞানতত্ত্ব ও কান্টের নীতিদর্শন সমন্বয় করে আমরা আমাদের রহস্যের উত্তর খুঁজে পেতে পারি।  আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে আমরা বুঝতে পারি, সম্প্রসারণশীল পরম স্থানের মধ্যে পদার্থের সংখ্যার পরিমাণগত পরিমাণের তারতম্যে নবগাঠনিক কাঠামোর ক্রমবিবর্তনের ধারায় পৃথিবীতে গুণগতভাবে কলয়ডাল সলিউশনের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ডিসায়ার নামক বিভ্রম ক্রিয়েট হয়। চেতনার কোয়ান্টাম জগৎ আর বিস্তৃত সৌরজগৎ একইধর্মী আচরণ করে। আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ যে, চেতনার ক্রিয়াও রাসায়নিক বিক্রিয়া, এটি তেমন আকষ্মিক কিছু নয়। চেতনা এমন কিছু নয়, যা সৃষ্টি করতে একটি সচেতন ক্রিয়া আবশ্যক – এমন নয় যা পদার্থের আচরণের বিরোধী। শুধুমাত্র সহজাত বোধই নয়, বরং বৃহত্তর পরিসরে যদি চতুর্মাত্রিক জগতের উচ্চতর গাণিতিক সমীকরণের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতার সঙ্গতি রেখে বিবেচনা করি তাহলে দেখা যায় একটি ভুল প্রশ্ন জন্ম দিয়েছিল একটি ভুল উত্তর। বাটারফ্লাই ইফেক্টে একটি দৃষ্টিভ্রমের ভবিষ্যতকে বিচার করলে আমরা দেখি গোটা মানব প্রজাতির ইতিহাসে ‘স্বতন্ত্র-সত্ত্বা’ প্রশ্নোত্তরের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে।
কার্য-কারণের জগতে আকষ্মিকভাবে জগৎ সৃষ্টি হওয়ার প্রশ্নটি প্যারাডক্সিকাল। তাই কেউ কেউ পরম চেতনার প্রশ্নটি হাজির করে। হেগেলও ‘ফেনোমেনোলজি অব স্পিরিটে’ বারবার এই প্রশ্নে ধাক্কা খেয়েছেন। এঙ্গেলস ‘ডায়ালেক্টিক অব ন্যাচার’ এবং ‘এন্টি ডুরিং’ -এ মূল প্রশ্নের উত্তর দেননি।  কিন্তু কান্টের কার্য-কারণ উপলদ্ধির তত্ত্বে আমরা জগত সৃষ্টির প্রথম কারণ খুঁজে না পেলেও – এটা খুঁজে পাই যে, আমাদের প্রশ্নটি কতবেশী গণিতের সাথে বিচ্ছিন্ন এবং সহজাত বোধ দ্বারা আক্রান্ত। আমরা এতকাল এমন একটি রহস্যের উত্তর খুঁজেছি যেটি আমরা মেনে নিতে পারব না। সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ধারণাটি একটি রহস্যের উত্তর দেয় আরেকটি রহস্য দিয়ে। হুমায়ুন আজাদ তাই বলতেন, আদিম সৃষ্টিতত্ত্ব জগতের রহস্যের বিরহস্যীকরণ করার বিপরীতে সবকিছুকে রহস্যের চাদরে ঢেকে দিয়েছে।
যাইহোক, এতকিছুর পর আমাদের জ্ঞানার্জনের কষ্টকর প্রচেষ্টা দ্বারা আজ আমরা প্রকৃতির সাবেকী আকষ্মিকতাকে প্রতিস্থাপন করেছি কার্য-কারণ সূত্রে। আমরা জেনেছি কর্তা নিজেই কার্য-কারণের ফসল। তাই ঈশ্বরের উকিলদের বিকাশ এখানে রুদ্ধ হয়ে গেছে। বিশেষত, যখন বস্তুর সাথে জৈব জগৎ এবং শেষপর্যন্ত চেতনার সম্পর্ক নির্ণয় হয়ে গেছে, তখন চেতনা হিসেবে পরম-কর্তার অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ একটি হাস্যকর বিষয় হল ঈশ্বরের গ্রন্থ দিব্যি রয়ে গেছে। রয়ে গেছে ঈশ্বরের সৃষ্টিতত্ত্ব আর টোটেমীয় নৈতিকতা। এগুলোর উৎপত্তির উৎসও আমরা জানি।
আদিম কৃষিভিত্তিক সমাজের লোকেরা, যাদের ছিল না বিপুল পরিমাণ জাগতিক জ্ঞান — এদের ফসল ভালো হওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল জলের। ‘আকষ্মিক আকাশ থেকে জল পড়ছে’ -এই ঘটনা এই অজ্ঞ লোকেদের মধ্যে কি প্রভাব ফেলবে? নিশ্চয়ই এই ঘটনার জন্য প্রয়োজন ছিল শক্তির এবং আমাদের প্রতি করুণার৷ কিন্তু এই শক্তি এবং করুণা কার? যাকে দেখা যায়না, কিন্তু তিনি আছেন, ঐ উপরে, যেখান থেকে তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, তিনি শক্তিশালী, পরম করুণাময় – ইহজগতের সৃষ্টিকর্তা। যার ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হয়না। সব তারই বিধান।  সৃষ্টিকর্তার এই পিতারা একে-একে ঈশ্বরের উপর বিশেষত্ব আরোপ করতে শুরু করলেন। ধীরে ধীরে জন্ম নিলো আধুনিক ঈশ্বর, যার বই আমরা এখনও পড়ি।
পশুচারণজীবী চাষিরা জানতো— কেন পশুরা আস্ফালন করে আর কীভাবে তাদেরকে বশ মানাতে হয়। দূর্যোগকে মনে করা হত ঈশ্বরের রাগের বহিপ্রকাশ হিসেবে। তাই তাকে বশ মানাতে যা যা করা হত সেসব কাজ হয়ে উঠলো আমাদেরকে রক্ষার কাজ। ধর্ম শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থও ধারণ বা রক্ষা করা৷ মহাভারতের কর্ণপর্বেও কৃষ্ণ একই কথা বলছেন। রিলিজিয়ন এসেছে ‘পুনরায় যুক্ত করা’ থেকে। এখানে সে জিনিসটি যুক্ত করার প্রবণতা দেখা যায়, যেটি সম্পত্তির ব্যাক্তিগত মালিকানা উদ্ভবের কারণে মানুষ নিজের থেকে হারাতে শুরু করে। সহানুভূতি, ক্ষমা, দয়া ও প্রেম। আরবীতে দ্বীন। ইসলামী বা শান্তিপূর্ণ দ্বীন হল সদুপদেশ দান, সহীহ মুসলিমের কিতাবুল ইমানের মধ্যে এই দাবিটি মহানবীর। নবী শব্দের অর্থ পথপ্রদর্শক। জালিয়াতির যুগে মানুষকে শান্তির পথ দেখাতে আসেন মহাপথপ্রদর্শক মুহাম্মদ– কোরানের রচয়িতা। কোরআন বাইবেলের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ। তিনি আমাদেরকে দেখালেন আকাশ, আমরা তাকালাম তার আঙুলের দিকে। আমরা তার দেখানো প্রেমের পথ, সহানুভূতির পথ, বিশ্বাসের পথ দেখলাম না। আমরা দেখলাম তার পাজামা পড়ার পদ্ধতি, হাঁটার পদ্ধতি, বসার পদ্ধতি। তাই আমাদের শান্তি আর এলো না। কোরআন বাইবেলের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ। চতুর্ব্বেদের ভাস্যে কৃষ্ণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য ধর্ম-জ্ঞান দেন ঋষিদের ধ্যানের মাধ্যমে। বেদ শব্দের অর্থও জ্ঞান।  পরে লিপিবদ্ধ করার পর এই জ্ঞানের পুরো সংকলনটিকে কৃষ্ণদৈপায়ন মানুষের ভালোমন্দের বিচার করে কয়েক খন্ডে বেদকে বিভক্ত করেন। প্রাচীন পারস্যের আবেস্তার চিন্তাভাবনা ও ঋগেদের চিন্তাভাবনা প্রায় একই। এপ্রসঙ্গটি আজকের শিরোনামে প্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু এবিষয়টি আরও বেশি চিত্তাকর্ষক– পরবর্তীতে প্রকাশের জন্য সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। আজ শুধু এটা বুঝতে হবে যে, বেদ- বাইবেলের সৃষ্টিতত্ত্ব গল্প হিসেবে চমৎকার, কিন্তু একটি বিশ্বাস হিসেবে ভয়ংকর এবং জগৎ-জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ভুল বোঝাবুঝি।

টোটেমীয় ধারণা যখন প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে উঠলো মানুষের সাথে প্রাকৃতিক আইনের অসামঞ্জস্যতার ফলে, তখনই মানুষ শুরু করলো আইন ভঙ্গ, যা শাসকরা দেখত ব্যভিচার রুপে, ফলে দেখা দিল শাস্তির বিধান, কিন্তু শাস্তি দিয়ে দমন করা গেল না প্রবৃত্তি ; তাই শেষ ভরসা ঈশ্বর। তোমরা যদি ব্যভিচার করো, তাহলে তোমাদের আত্মা পাবেনা শান্তি, মহান ঈশ্বর আত্মাকে শাস্তি দেবেন। দেহ নশ্বর, আত্মা অবিনশ্বর। আত্মার মৃত্যু নেই। লাশ পচে যায়, আত্মা যায় স্বর্গে-নরকে। শেখানে হয় বিচার। বিচার প্রক্রিয়া সামন্তীয় রীতিতে। কেননা যারা এসব গল্প লিখেছেন, তারা সামন্তীয় যুগে বাস করতেন। আর কোনো বিচার পদ্ধতি সম্পর্কে ছিল না কোনো ধারণা। এই ঈশ্বরের গুণের সাথে যুক্ত করতে পারেনি নতুন ধরনের বিচারের বিশেষত্ব। শুধু পরকালেই নয়, ইহকালের দুঃখ-যন্ত্রণার কারণও ব্যভিচার। ক্ষেতে আর আগের মতো ফসল হয়না, বৃষ্টি হয়না সময় মতো, অতএব আমাদের প্রতি ঈশ্বর রুষ্ট! আমাদের ব্যভিচার দেখে ঈশ্বর ক্ষিপ্ত। অতএব, ঈশ্বরকে শান্ত করো। ভুলের জন্য অনুতপ্ত হও। লাইফ অব ব্রিয়ান সিনেমাটি নবীদের উৎপত্তির ইতিহাস বুঝতে সহায়তা করে।ঈশ্বর ক্ষিপ্ত – তাই ভুলের জন্য অনুতপ্ত হও : এই অনুতাপ থেকে অনেকগুলো প্রথার মধ্যে কয়েকটি হল সওম, কোরবান, নরবলি ইত্যাদি ইত্যাদি।  নরবলি প্রথার ইতিহাসটি কি?  চন্দ্রগ্রহণ হলে সূর্য ঢেকে যায়, আর এইভাবে ঢেকে যাওয়ার বৈজ্ঞানিক কারণ না জানা আদিম লোকেরা কি ভাবত!  আস্ত একটা সূর্যকে এভাবে গিলে ফেলা কি যেনতেন কথা! সূর্য হয়তো রেগে গেছে। এই অংশটি বোঝার জন্য ‘আপিকেলিক্টো’ মুভিটি প্রাসঙ্গিক। একি অনাচার! হত্যা, হত্যা, হত্যা, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের ধারণা সৃষ্টি করেছে কসাইখানা। বলিদান হয়েছে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী থেকে শুরু করে নবজাতক পর্যন্ত! একি সর্বনাশ করলো এই সৃষ্টিকর্তা। হায়!

সতীত্বের ধারণার উপর ভিত্তি করে যে টোটেম গড়ে উঠেছিল, তার সামাজিক বাস্তবতাও ছিল শ্রেণী-বিভাজিত বাস্তবতা, যেখানে ব্যাক্তিগত সম্পত্তির অধিকার প্রদান ছিল আবশ্যক, তাই গড়ে তোলা হয়েছিল একপতিপত্নী প্রথা, যার ভিত্তি সতীত্ব। আর এর থেকেই ঈশ্বর এবং টোটেম একতাবদ্ধ হয়ে জন্ম নিলো আধুনিক ধর্ম।   মানুষের ভুলে ঈশ্বরের জন্ম এবং মানুষের অগ্রগতি ঈশ্বরের কবরে শেষ পেরেক ঠুকে দেবে। জ্ঞানতত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিনাশ করবে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে, আর টোটেমকে বিনাশ করবে কমিউনিজম। ধর্মে প্রবেশ করবে উচ্চতর গণিত সৃষ্টিতত্ত্ব এবং তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কর্তব্যকর্ম।

লেখকঃ মার্ক্স স্কলার ও রাজনৈতিক অর্থনীতির সমালোচক