চলমান সংবাদ

অধ্যাপিকা সেলিনা শেলির বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন

চারন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আজ ১৭ এপ্রিল ২০২৩ সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে ফেসবুকের একটি ফান পোস্টের অজুহাতে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কবি সেলিনা শেলীকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বরখাস্তের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং তাকে স্বপদে বহাল করার দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ কবি সেলিনা শেলীকে শুধু বরখাস্ত করেই ক্ষান্ত হননি, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করারও হুমকি দেয়। এটি বন্দর কর্তৃপক্ষের চরম অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি কালো আইন। ঘুষ, দুর্নীতি, লুটপাট, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয় না, শুধুমাত্র মুক্তচিন্তা বাঁধাগ্রস্ত করতে এটি ব্যবহৃত হয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ কবি সেলিনা শেলীকে সসম্মানে স্বপদে বহাল করার জোর দাবি জানান এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে কালো আইন বাতিলের জন্য জনগণকে রাজপথে আন্দোলন তীব্র করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া সামান্য একটি ফান পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বন্দর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, দেশের একজন সুপরিচিত কবি এবং প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা সেলিনা শেলীকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা কবি ও শিক্ষক সেলিনা শেলীকে হয়রানী করা এবং চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরী এক যুক্ত বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানায়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সেলিনা শেলীকে স্বসম্মানে বন্দর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহাল করার দাবী করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন সেলিনা শেলীর মত একজন প্রগতিশীল শিক্ষককে এভাবে হয়রানী করার পিছনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টির ষড়যন্ত্র আছে। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবী জানান এবং  বিভিন্ন প্রতিক্রিয়াশীল গোস্টি বিষয়টিকে ঘোলাটে করে একটি অপ্রীতিকর  পরিস্থিতি সৃষ্টির যেই পায়তারা চালাচ্ছে তা তা প্রতিহত করার জন্য সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তাঁকে স্বসম্মানে চাকরিতে ফিরিয়ে না আনলে এরকম ঘটনা বাংলাদেশে আরো ঘটতে থাকবে। নেতৃবৃন্দ একইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবী জানান।

# ১৮/০৪/২০২৩, চট্টগ্রাম