চলমান সংবাদ

শ্রমিকের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)

স্কপ শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম-সমন্বয়কারী আব্দুল কাদের হাওলাদার ও শামীম আরাসহ স্কপ নেতৃবৃন্দ এক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট নিষিদ্ধ করার বিল উত্থাপনকে শ্রমিকের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়ার পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্মঘটের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। সংবিধান, আইন, আইএলও কনভেনশন এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান সবখানেই শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকারের স্বীকৃতি আছে। অতীতের সমস্ত আইনগুলোকে সংকলিত করে যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ প্রণয়ন করা হয়েছে সেখানেও বেআইনি ধর্মঘটের বিষয়ে নির্দিষ্ট বিধান আছে। তা সত্তে¡ও অত্যাবশ্যকীয় খাত নামে প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো শ্রমিকদের উপর বিনা বাধায় নিপীড়নের অধিকার সম্প্রসারিত হওয়া।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতের পরিধি এত ব্যাপক যে এমন কোন খাত নেই যা এর অন্তর্ভুক্ত হবে না। ফলে ভবিষ্যতে এই আইনের দোহাই দিয়ে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবী আদায়ের আন্দোলন এবং সংবিধান ও শ্রম আইন স্বীকৃত অধিকার কেড়ে নেয়া হবে। এই বিল আইনে পরিণত হলে তা মালিকদের সুরক্ষা এবং শ্রমিকদের ভীতি প্রদর্শন ও শাস্তি প্রদানের হাতিয়ারে পরিণত হবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জরুরী সেবা যেমন গুরুত্বপূর্ণ শ্রমিকের অধিকারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেয়ার আগে কোন অজুহাতেই শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিষিদ্ধ করা দরকার। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে যখন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সেখানে প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়ার উদ্যোগ খুবই দুঃখজনক। ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় কমিটিকে উপেক্ষা করে এই বিল সংসদে উত্থাপনকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়ে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই বিল প্রত্যাহারের দাবী জানান ।

# ১০/০৪/২০২৩, ঢাকা