চলমান সংবাদ

কর্ণফুলী পেপার মিলের আধুনিকায়ন হবেঃ শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গতকাল শুক্রবার কেপিএম কারখানা পরিদর্শনে এসে মতবিনিময়কালে বলেন, কর্ণফুলী পেপার মিলকে আরো আধুনিকায়ন করা হবে। কারখানার জরাজীর্ণ কলকব্জা এবং প্রায় ভঙ্গুর দালান সমূহ নতুন করে গড়ে তোলা হবে। ৭৫ বছর বয়সেও এখনো কেপিএম যে মানের কাগজ উৎপন্ন করছে তার জন্য তিনি পেপার মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং সর্বস্তরের শ্রমিক–কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

কেপিএম অতিথি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। বক্তব্য রাখেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী এবং কপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে। উপস্থিত ছিলেন কেপিএমের উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান মইদুল ইসলাম, প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, হিসাব বিভাগীয় প্রধান মজিবুর রহমান, বাণিজ্যিক বিভাগীয় প্রধান মো. আবু সাইদ, টেকনিক্যাল বিভাগীয় প্রধান রুপম বড়ুয়া, সিবিএ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক এবং সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু।

শিল্পমন্ত্রী পুরো কেপিএম কারখানা ঘুরে ঘুরে দেখেন। কারখানায় মন্ড তৈরি এবং কাগজ উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, অবশ্যই কেপিএম ঘুরে দাঁড়াবে। কেপিএমের যে সক্ষমতা আছে তা কাজে লাগাতে পারলে বিদেশ থেকে কোনো কাগজ আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। কেপিএমকে নিয়ে সরকারের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, কেপিএমে অবশ্যই নতুন প্রজেক্ট হবে। তবে আপাতত পুরাতন কারখানাটিকে আরো আধুনিকায়ন করে এর উৎপাদন বৃদ্ধি করার প্রতি আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।

শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, কেপিএমের উৎপাদিত কাগজের মান আরো ভালো করতে হবে। মান ভালো করার জন্য সবরকম সহযোগিতা মন্ত্রণালয় থেকে করা হবে। আমরা কেপিএম থেকে আরো ভালো উৎপাদন প্রত্যাশা করছি। কেপিএমের উৎপাদিত কাগজে জলছাপ হিসেবে ‘কেপিএম’ লিখে রাখার জন্যও তিনি পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, কেপিএমের কাঁচামাল সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল ব্যবহৃত বই কেপিএমকে সরবরাহ করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। শিক্ষা বোর্ডের সকল ব্যবহৃত কাগজ যাতে কেপিএমে আসে তার ব্যবস্থা করা হবে।

কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আনিসুজ্জামান বলেন, কেপিএমের কাগজের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশন ৭শ মেট্রিক টন কাগজ চেয়ে বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কাগজ উৎপাদন করছি। তবে কারখানাটি অতি পুরাতন হবার কারণে এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সঙ্কটের জন্য উৎপাদন ব্যাহত হয়।