চলমান সংবাদ

বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ল ৫ শতাংশ

-সর্বশেষ ৪৭ দিনে তিন বার বাড়ানো হল

নিয়মিত মূল্য সমন্বয়ের অংশ হিসেবে আরেক দফা বাড়ল বিদ্যুতের দাম; খুচরায় ৫ শতাংশ বাড়িয়ে মার্চ মাসের জন্য বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে খুচরায় গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ভারিত গড়ে দাঁড়াবে ৮ টাকা ২৪ পয়সা, যা ফেব্রুয়ারিতে ৭ টাকা ৮৫ পয়সা ছিল। আর জানুয়ারিতে ছিল ৭ টাকা ৪৮ পয়সা। এ বছর ১২ জানুয়ারি থেকে (সর্বশেষ ৪৭ দিনে) তিন দফা বাড়ানো হল বিদ্যুতের দাম।

বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের খুচরা মূল্য গড়ে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। তবে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকের জন্য তা বিভিন্ন হারে কার্যকর হবে। মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে নতুন এই মূল্যহার কার্যকর হবে বলে গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। খুচরায় বাড়লেও পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি মার্চ মাসে। ফেব্রুয়ারিতে ভারিত গড়ে পাইকারি বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে ৮ শতাংশ এবং গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। তার আগে ১২ জানুয়ারি ভোক্তাপর্যায়ে বিদ্যুতের খুচরা দাম গড়ে প্রতি ইউনিটে ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জানুয়ারির শেষে দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রত্যেক মাসেই গ্যাস–বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার কথা আমরা আগেই বলেছিলাম। আগামী মাসে বিদ্যুতের দাম আরেকবার সমন্বয় করতে হবে। আমাদের আর ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ নেই। এখন এভাবে সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই যেতে হবে।

দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, আমরা আগেই বলেছি, ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দাম বাড়াতে হবে। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রয়োজনে মাসে মাসে গ্যাস–বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবো। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও কমবে।

এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড়ে ১২ টাকা খরচ হয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সেখানে আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। তাতেই আমরা অনেক চিৎকার শুনি। গ্যাস–বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে, সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেওয়া যাবে। তাছাড়া আর কত ভর্তুকি দেয়া যায়।