un

নগরীতে ভেজাল প্রসাধনীর কারখানা

-ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড ৪ লাখ টাকা জরিমানা

নগরীর বায়েজিদের শাহ হাবিবুল্লাহ রোড এলাকায় জে বি কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি ভুয়া কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন এবং বিএসটিআইয়ের যৌথ টিম। রিকশা গ্যারেজ করার কথা বলে ভূমির মালিকের কাছ থেকে বাবুল নামের এক ব্যক্তি এ কারখানা চালু করেন। অভিযানে প্রায় ৫ লাখ টাকা মূল্যের মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সাবান, শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, গ্লিসারিন, ফেসওয়াস, সেঙুয়াল ট্যাবলেট, ব্রেস্ট ক্রিম, ফেস পাউডার, স্যালাইন, প্রেগন্যান্সি কিট, হ্যান্ডওয়াশ ও ব্যথানাশক ক্রিমসহ বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করা হয়। একপর্যায়ে নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীনভাবে এ সকল পণ্য তৈরির দায়ে কারখানা ম্যানেজার মো. খায়রুজ্জামান রাজুকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাকে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গতকাল জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই’র টিম যৌথ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ ঘটনায় কারখানার তিনজন শ্রমিককেও আটক করা হয়েছিল। বয়স বিবেচনায় নিয়ে মুচলেকা নিয়ে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযানে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযান পরবর্তী তিনি  গণমাধ্যমকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অবৈধ ও ভুয়া এ ভেজাল কারখানার সংবাদ পাই। একপর্যায়ে বিএসটিআইকে সাথে নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সাবান, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে নানা রকম ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী শনাক্ত করে জব্দ করি। ক্ষতিকর রং ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পণ্যগুলো তৈরি করা হয়। একপর্যায়ে তা ধ্বংসও করা হয়। বিভিন্ন সাবানে বিএসটিআই’র অনুমতি ছাড়াই বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করতেও দেখা গেছে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত আরো বলেন, কারো বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার বা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা মোবাইল কোর্টের নেই। আমরা যাকে হাতে নাতে আটক করেছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। যেহেতু অভিযানের সময় মালিক বাবুলকে পাওয়া যায়নি সেহেতু মালিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানা পুলিশ নিয়মিত মামলার ব্যবস্থা নেবে।

রিকশা গ্যারেজ করার কথা বলে ভাড়া নিয়ে ভেজাল প্রসাধনী কারখানা চালু করা হয় বলেও জানান ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভেজাল বিরোধী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। রিয়াজউদ্দীন বাজার সহ অন্যান্য যেসকল বাজারে ভেজাল প্রশাধনী সামগ্রী বিক্রি হয় সেসকল জায়গায় আমরা ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালাব।