চলমান সংবাদ

ভক্তদের পদচারণায় মুখর মাইজভাণ্ডার

-আজ মহান ১০ মাঘ

এদিকে, গতকাল গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারির (ক.) ওরশ উপলক্ষে তাঁর মাজারে গিলাপ চড়ানো হয়েছে। সোমবার সকালে গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারির (ক.) রওজায় গিলাপ চড়ান গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারি (ম.) ও নায়েব সাজ্জাদানশীন এবং মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারি (ম.)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খান অ্যাগ্রো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দুল হক খান, মাইজভাণ্ডারি ফাউন্ডেশনের কো–চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন সৈয়দ সোহেল হাসনাত ও চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর এবং আওলাদে গাউছুল আজম শাহজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ এরহাম হোসাইন ও শাহজাদা সৈয়দ মানাওয়ার হোসাইন। পরে রওজা প্রাঙ্গণে তাওয়াল্লোদে গাউছিয়া, জিকির ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।

জানা যায়, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি হযরত মওলানা শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) ১২৩৩ বাংলা পহেলা মাঘ, রোজ বুধবার জোহরের সময় জন্মগ্রহণ করেন। ৭৯ বছর বয়সে ১৯০৬ সালে (১৩১৩ বঙ্গাব্দে ১০ মাঘ) সোমবার দিবাগত রাতে ইহধাম ত্যাগ করেন। চার বছর বয়সে গ্রাম্য মক্তবে হযরতের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। ১২৬৮ হিজরীতে তিনি কলকাতা আলিয়া মাদরাসার শেষ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেন। হিজরী ১২৬৯ সালে তিনি যশোর জেলায় কাজী (বিচারক) পদে যোগদান করেন। ১২৭০ হিজরীতে কাজী পদ থেকে পদত্যাগ করে কলকাতার মুন্সি বু–আলী মাদরাসায় প্রধান মোদার্রেছের পদে যোগদান করেন। তার পীরে তরিকত ছিলেন শেখ সৈয়দ আবু শাহমা মুহাম্মদ ছালেহ আল কাদেরী লাহোরী (রহ🙂। অপরদিকে পীরে তরিক্বতের বড়ভাই হযরত শাহ সৈয়দ দেলাওয়ার আলী পাকবাজ (রহ🙂 এর কাছ থেকে কুতুবিয়তের ফয়েজ অর্জন করেন। বিল আছালত বা স্বভাব সিদ্ধ অলি হযরত গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারি (কঃ) তার পীরে ত্বরিকতের নিদের্শে ১৮৫৭ সালে নিজ গ্রাম মাইজভাণ্ডারে ফিরে আসেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার বুযুর্গীর কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ তার দরবারে ভিড় জমায়। লোকসমাজে পরিচিতি পায় ‘মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ’ হিসেবে।