চলমান সংবাদ

সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিসহ ১০ দফা ঘোষণা বিএনপির

সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিসহ ১০ দফা ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

ঢাকার গোলাপবাগ মাঠে দলটির বিভাগীয় সমাবেশে এই ঘোষণা দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে:

  • বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ
  • ১৯৯৬ সালের সংবিধান সংশোধনের আলোকে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন
  • বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে গ্রহণযোগ্য স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠন এবং লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড গঠনে আরপিও সংশোধন করা। সেই সঙ্গে ইভিএম পদ্ধতি বাতিল, পেপার ভোট নিশ্চিত করা ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল
  • খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আলেমদের সাজা বাতিল।সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি এবং দেশে সভা সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোন বাধা সৃষ্টি না করা। সব দলকে স্বাধীনভাবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে প্রশাসন ও সরকারি দলের বাধা সৃষ্টি না করা। স্বৈরাচারি কায়দায় বিরোধী কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে নতুন কোন মামলা না করা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করা।
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করা
  • বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করা
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা ও বাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করা
  • গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে পডাচার করা অর্থ, ব্যাংক, আর্থিক খাত ও শেয়ারবাজার সহ সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
  • গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার ও বিচারবর্হিভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা। সেই সঙ্গে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপসনালয় ও সম্পত্তি দখলের জন্য বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচারবিভাগের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ দূর করে স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।

এর আগে নয়টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশের সময় জানানো হয়েছিল, ঢাকার এই সমাবেশ থেকেই তাদের আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করা হবে।

তারা বলেছিলেন,এই সমাবেশে দফার ‘চার্টার্ড অব ডিমান্ড’ ঘোষণা করা হবে, যার লক্ষ্য হবে ‘সরকারের পতন ঘটানো’।

এই সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি গত আড়াইমাস ধরে দেশ জুড়ে যে সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে আসছিল, তা শেষ হলো।