বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (৬৭): ডার্টি পারমাণবিক বোমা

-বিজন সাহা

বেশ কয়েকদিন ধরে রাশিয়া ইউক্রেনে ডার্টি পারমাণবিক বোমা ফেললে পশ্চিমা বিশ্ব কিভাবে তার প্রত্যুত্তর দেবে এই নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা চলছিল। রাশিয়া বরাবরই বলেছে ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের পরিকল্পনা তার নেই। কথাটা আমি বিশ্বাস করি। যে রাশিয়া ইউক্রেন জনগণকে নিজেদের ইন্টেগ্রাল পার্ট হিসেবে মনে করে সে কেন এখানে পারমাণবিক বোমা ফেলবে? যে রাশিয়া এমনকি ইউক্রেন বার বার দনবাস সহ মূল রুশ ভূখণ্ডে বেসামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করার পরেও ইউক্রেনের বেসামরিক স্থাপনায় আক্রমণ করছে না লোকক্ষয় এড়িয়ে যেতে, সে কেন ডার্টি পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে? তাহলে কেন বার বার পশ্চিমা বিশ্ব এই প্রশ্ন তুলছে? হ্যাঁ, ইউক্রেনকে সঙ্কেত দিতে যাতে সে এটা করে আর এই অজুহাতে তারা হয় রাশিয়ার উপর আক্রমণ করতে পারে অথবা নিদেন পক্ষে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে পারে। তাছাড়া এখন খোদ পশ্চিমা বিশ্বে জনমত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। মানুষ না খেয়ে, শীতে ঠাণ্ডা ঘরে থেকে আর ইউক্রেনের যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালতে রাজী নয়। ফলে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারের উপর চাপ বাড়ছে রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসার। তাই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে রাশিয়ার উপর দোষ চাপিয়ে জনমত পরিবর্তন করা এখন পশ্চিমা বিশ্বের জন্য খুবই জরুরি।

রাশিয়া ইতিমধ্যে ইউক্রেন ডার্টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে অভিযোগ এনেছে। বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব সেটাকে যাচাই না করেই নাকচ করে দিয়েছে। এ নিয়ে এখানে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এরা এ প্রসঙ্গে বলছে যে ২০১৩ সালে বোস্টন ম্যারাথনে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের কথা রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এক বছর আগেই সিআইএ কে জানায়। তবে যেহেতু এর সাথে চেচেন এক ফ্যামিলি জড়িত ছিল তাই ওদিক থেকে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। এদের ভাষ্য আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্ব রাজনৈতিক দিক থেকে না দেখে অন্য ভাবে এটা দেখতে পারত আর সে অনুযায়ী অন্তত এদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পারত। কারণ এর আগে একাধিক বার ইউক্রেন বিভিন্ন কাজ করে রুশদের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে এবং পশ্চিমা গণমাধ্যমের জোরে অন্তত জনমত তৈরিতে সমর্থ হয়েছে যদিও শেষ পর্যন্ত কোন অভিযোগই ধোপে টেকেনি। অনেকেরই হয়তো মনে আছে যে যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে  সৈন্যরা যাতে ধর্ষণ ইত্যাদি কাজে লিপ্ত না হয় সে জন্য মার্শাল ঝুকভ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করেন। চেচনিয়ার যুদ্ধে রুশ জেনারেল বুদায়েভ এক নারীকে ধর্ষণ করলে তার জেল হয়। আসলে সেনাবাহিনীর প্রধান বৈশিষ্ট্য শৃঙ্খলা। ধর্ষণ লুট এসব সেই শৃঙ্খলা নষ্ট করে, ফলে সেনাবাহিনী আর সেনাবাহিনী থাকে না, একগুচ্ছ লম্পটে বা দুর্বৃত্ত দলে পরিণত হয়। এটা আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। ইউক্রেন প্রথম দিকে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেও পরে তা থেকে সরে আসে। যে কর্মকর্তা সেটা করে সে পদচ্যুত হয়। সে পরে স্বীকার করে যে বিদেশ থেকে সহানুভূতি পাবার জন্য সে এই অভিযোগ আনে। একই ঘটনা বলা চলে অন্যান্য অভিযোগের ক্ষেত্রেও। কি বুচা, কি অন্য জায়গা – রাশিয়া বার বার সেসবের প্রমাণ চাওয়া সত্ত্বেও ইউক্রেন দিতে পারেনি। তাই আজ রাশিয়া যখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ডার্টি বোমা ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা বলছে, আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব তার দায় রাশিয়ার ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। আর কেউ কেউ সেটা ঐশী বাণী বলে মেনেও নিচ্ছে। কথা আছে, কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। এরকম অনেক লোক, যারা এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রুশ দেশ থেকে অনেক কিছুই পেয়েছে আর আজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে – তারা অনায়াসে এসব প্রচার করে যাচ্ছে। অলৌকিক কিছুতে আগে তেমন একটা বিশ্বাস করতাম না। তবে আজকাল এসব মানুষের পরিবর্তন দেখে মনে অলৌকিক ব্যাপার স্যাপার নিশ্চয়ই ঘটে।  এখানে ডার্টি বোমা সম্পর্কে দুটো কথা বলি। এটা সাধারণ বোমা যেখানে সাধারণ ইউরেনিয়াম বা ঐ জাতীয় কিছু রেডিও আক্টিভ উপাদান ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক বোমা বা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটলে যে ধরণের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে সে রকম কিছু হয় না। এর মূল শক্তি দীর্ঘকালীন রেডিয়েশন। এর ফলে কমবেশি কয়েক কিলোমিটার রেডিয়াসের একটা এলাকা ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছরের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। তাই ইউক্রেনের এই বোমা হামলার ফলাফল তৎক্ষণাৎ তেমন ধ্বংস ডেকে না আনলেও সেটার রাজনৈতিক পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে। কারণ এর পরে নিজেদের ঘোষণা অনুযায়ী ন্যাটো ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে পারে বা অন্য ধরণের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সেটা যে ফুলস্কেল পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেবে না সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। বিশেষ করে যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেশ দুর্বল। একটা সময় ছিল যখন আমেরিকা নিজেকে নিরাপদ মনে করত। তবে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সেও আর ধরাছোঁয়ার বাইরে নেই বরং রাশিয়া বা চীনের চেয়ে অনেক ভালনারেবল। কেননা এখন দু’ দিক থেকেই সাবমেরিনে আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে পৌঁছান যায় আর যদি সেখানে শক্তিশালী কয়েকটা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় তবে এর ফলে সৃষ্ট সুনামি যে রেডিও আক্টিভ ঢেউয়ে আমেরিকার এক বিশাল অংশ ডুবিয়ে দেবে সেটা এই দেশকে কয়েক দশকের জন্য বসবাসের অযোগ্য করে তুলবে।

ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষের সামরিক মহড়া, রোমানিয়ায় আমেরিকান সৈন্যের প্রবেশ, বিভিন্ন জেনারেলদের উস্কানীমুলক বক্তব্য ইত্যাদির কারণে। এমনকি কেউ কেউ বলছে আমেরিকান সেনারা ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত। ব্ল্যাক সীর রুশ নেভি আর ইউক্রেনে অবস্থিত রুশ সেনাদের উপর ন্যাটো হামলা করবে বলেও ন্যাটোর অনেক হোমরাচোমরা ব্যক্তিরা বলাবলি করছে। ভাবখানা এই এসব হলে রাশিয়া হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে। সেটা যে করবে না, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ তার বড় প্রমাণ। শুধু তাই নয়, গতকাল জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির মহড়া এ ব্যাপারে রাশিয়ার দৃঢ় সংকল্পের কথাই জানায়। এখানে বিভিন্ন সময়ে ভ্লাদিমির পুতিনের কয়েকটি উক্তি উল্লেখ করা যেতে পারে। একবার তিনি বলেছিলেন, লেনিনগ্রাদের রাস্তা তাকে শিখিয়ে মারামারি যদি এড়ানো অসম্ভব হয় তখন আঘাত হানতে হয় সবার আগে। এর মানে রাশিয়ার উপর ন্যাটোর কোন আক্রমণে এরা সর্ব শক্তি নিয়ে ন্যাটো বিশেষ করে আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের উপর আঘাত হানবে। দ্বিতীয়ত তিনি এক পর্যায়ে বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধে আমরা স্বর্গে যাব আর আমাদের শত্রুরা শুধুই মারা যাবে। এর অর্থ এমন যুদ্ধে যে রাশিয়া থাকবে না সেটা তিনি ভাল করেই জানেন। আর সেই প্রেক্ষিতে বলেন, কি দরকার আমাদের সেই পৃথিবী যেখানে রাশিয়ার অস্তিত্ব থাকবে না। সেই কথাগুলো বলার একটাই কারণ – পুতিনের একটা সাইকোলজিক্যাল ছবি তুলে ধরা আর এটাও বলা অধিকাংশ রুশ জনগণ এটাকে সমর্থন করে। তাই যদি কেউ ভাবে অন্যের হাত দিয়ে যুদ্ধ করে সে পার পেয়ে যাবে – এটা একান্তই ভুল ধারণা। এটা বিশেষ করে আমেরিকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেন? আচ্ছা রাশিয়ার সাথে এর প্রতিবেশী কোন দেশের কি অমীমাংসিত সমস্যা ছিল? এমনকি চীনের সাথে পর্যন্ত সে সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছিল নিজে ক্ষতি স্বীকার করে। মিখাইল সাকাসভিলি ক্ষমতায় আসার পর পুতিন নিজে বিদ্রোহী আজারিয়াকে জর্জিয়ার সাথে শান্তি স্থাপনে চাপ দেন। এর প্রতিদান স্বরূপ সাকাসভিলি শুধু আজারিয়া দখলই করে না, সেখানকার নেতাকে দেশত্যাগে বাধ্য করে। পরে সাউথ অসেটিয়া আক্রমণ করে। তাই রাশিয়ার দিক থেকে কারো সাথেই সমস্যা তৈরি করা হয়নি। সমস্যা শুরু হয়েছে অন্য দিক থেকে। কেন এই রুশ বিরোধ? আমেরিকা কাউকে শান্তিতে থাকতে দেয় না। সেই উকিলের মত সবার দোরে দোরে ঘুরে আর মামলা করতে বলে। উকিল হিসেবে সে শুধু ফিই পায় না, একসময় দেশটাকেও নিজের করায়ত্ব করে নেয়। গত ডিসেম্বরে রাশিয়া আমেরিকাকে যে চিঠি দিয়েছিল তার মূল সুর ছিল এটা – তুমি তোমার মত থাক, আমাদের আমাদের মত থাকতে দাও। ইউরোপের শান্তি আর নিরাপত্তার ব্যাপারটা আমাদের দেখতে দাও। আমার বিশ্বাস তাতে সত্যিকার অর্থেই শান্তি আসত। আমেরিকা যখনই নিজের এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে আসে তখন সে আসলে অশান্তির মড়ক নিয়ে আসে। ইতিহাস সেটাই বলে। রাশিয়ার গতকালের মহড়া ছিল ন্যাটো তথা আমেরিকাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া যে তাদের কোনরকম হস্তক্ষেপ যুদ্ধকে তাদের ঘরে নিয়ে যাবে। আশার কথা সেনাবাহিনীর সক্রিয় সদস্যরা সেটা বোঝে। রাজনীতিবিদরা প্রায়ই বোঝে না। কারণ রাজনীতিবিদরা নিজেরা বা তাদের ছেলেমেয়েরা যুদ্ধে প্রাণ দেয় না, তারা উলটো যুদ্ধ বিক্রি করে ক্ষমতার ভিত্তি শক্ত করে আর আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। আরও একটা শ্রেণি এ থেকে লাভবান হয় – সেটা সাংবাদিকরা। হ্যাঁ, তারা ভাবে যুদ্ধ হলে রোমহর্ষক খবর পরিবেশন করতে পারবে, দু’ দিনেই সেলিব্রিটি হবে। কিন্তু পারমাণবিক যুদ্ধে যে তারা যে সেই সুযোগ পাবে না এটা অনেকেই বোঝে না। তাদের ধারণা গালফের যুদ্ধ বা নাইন ইলিভেনের মত এবারও তারা বিভিন্ন ভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের প্রতিবেদন তৈরি করবে। দুঃখের কথা সেটা যে তারা পারবে না সেটা বোঝার আগেই তারা নিজেরাই খবর হয়ে যাবে বা খবর থেকে উধাও হয়ে যাবে।

আমরা প্রায়ই একটা কথা বলে থাকি আমাদের দেশকে বর্ণনা করতে – বিচারহীনতা। হ্যাঁ, দেশে বিচারহীনতার কারণে অনেকেই একের পর এক অন্যায় করেও পার পেয়ে যায়, আর সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সমাজের দুর্বল অংশকে এর মাশুল টানতে হয়। আমেরিকা হল সেই জন যার উপর কোন আইন কাজ করে না, সে আইনকে থোড়াই কেয়ার করে আর নিজের সবকিছু জাস্টিফাই করার জন্য ইউরোপ ও অন্যান্য দেশকে সে ব্যবহার করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় প্রহসনের আদালত বসিয়ে। এসবই আমাকে পাকিস্তানের এক বিখ্যাত কেসের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুই প্রতিবেশীর বাক বিতণ্ডায় এক পর্যায়ে মুসলিম প্রতিবেশী খৃষ্ট ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করলে খ্রিষ্টান প্রতিবেশী ইসলামের বিরুদ্ধে কি যেন বলে। আর যায় কোথায়। সেই লোককে ব্লাসফেমি মামলায় ফেলে সে এক তুলকালাম কাণ্ড। আমেরিকার ক্ষেত্রেও প্রায় সেটাই ঘটে বারবার। সে বিভিন্ন দেশকে উস্কে দেয় আর পরে সেটার উপর ভিত্তি করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সালিসী বোর্ড গড়ে তোলে। পৃথিবী যদি আরেকটু ছোট হত এসব ঘটনাকে গ্রামের বিচার সালিসীর সাথে তুলনা করা যেত।

কথায় বলে বিপদে বন্ধু চেনা যায়। যুদ্ধ – এটা মানুষের তৈরি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপদজনক মুহূর্তের একটা। আগুন যেমন সবকিছু শুদ্ধ করে যুদ্ধও তেমনি। এ সময় মানুষ চেনা যায়, বন্ধু চেনা যায়। একদিন এই যুদ্ধ শেষ হবে। আমরা যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করতাম, মানুষে মানুষে সমতায় বিশ্বাস করতাম – সোভিয়েত মানুষের বীরত্বের কাহিনী পড়ে বড় হয়েছি – অনেকেই হতাশ হয়েছি এ দেশে পড়তে এসে অনেকের পচন দেখে। অক্টোবর বিপ্লব, গৃহযুদ্ধ, মহান পিতৃভূমির যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে প্রজন্ম বেরিয়ে এসেছিল পরবর্তী পর্যায়ে পার্টির আমলাতন্ত্রের কাছে তারা হার মানে। আর এই আমলাতন্ত্র দেশটাকে বিক্রি করে পুঁজিবাদের কাছে। এখন অনেকের ধারণা এই যুদ্ধ সমাজে এক ধরণের শুদ্ধি নিয়ে আসবে। আর সেটা সাহায্য করবে এই মাটিতে একটা ন্যায় ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে। তবে তার আগে আছে শেষ যুদ্ধ। এই শেষ যুদ্ধে সবাইকে মিলতে হবে একসাথে, এই যুদ্ধে বিজয়ের কোন বিকল্প নেই রাশিয়ার কাছে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ
শিক্ষক, রাশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো