চলমান সংবাদ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

সময় যত গড়াচ্ছে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। ঝড়ে কমবেশি ক্ষতি হয়েছে ১৫ জেলায়।

কোথাও ঘর ভেঙে, কোথাও গাছ পড়ে, কোথাও বা নৌযান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মানুষের। সরকারি হিসেব বলছে, ১৫ জেলায় এখনো পর্যন্ত ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনো সর্বত্র পৌঁছানো যায়নি বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে সিত্রাং। অতীতে এরচেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ঝড় মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। সিত্রাং যখন উপকূলে প্রবেশ করে তখন তার গতিবেগ ছিল ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বরিশাল এবং চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ঝড় স্থলভাগে প্রবেশ করে। কিন্তু সমস্যা হলো, দিনটি ছিল অমাবস্যা। ফলে নদীতে তেজকটাল ছিল। এরপর ঝড় শুরু হওয়ায় জায়গায় জায়গায় নদীর পানি ছয়-সাত ফুট পর্যন্ত ফুলেছে। যার জেরে ভেসেছে উপকূল। ঝড় এবং তেজকটালের যৌথ আক্রমণে উপকূল অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যত সময় যাচ্ছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তত স্পষ্ট হচ্ছে।

ভোলা সদর, দৌলতখানা, লালমোহন ও চরফ্যাশনে চারজন মারা গেছেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে একটি বাড়ির উপর গাছ পড়ে এক দম্পতি এবং তাদের চার বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, কক্সবাজারের টেকনাফে এক বিদেশি নাগরিক এবং তার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুইজন করে মারা গেছেন। নড়াইলের লোহাগড়া, বরগুনা সদর, নোয়াখালির সুবর্ণচরে এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় একজন করে মারা গেছেন ঝড়ের মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে।

সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকা ডুবে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালিতে ট্রলার ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ঢাকার হাজারিবাগ ও গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুইজনের প্রাণ গেছে। চট্টগ্রামের মীরসরয়াইয়ে বালির ড্রেজার ডুবে আটজন শ্রমিক নিখোঁজ হয়ে গেছিলেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের দেহ উদ্ধার হলে মৃতের মোট সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা আছে। অন্যদিকে সীতাকুণ্ডে জোয়ারের পানিতে এক শিশুর মৃতদেহ ভেসে এসেছে। শিশুর পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

# ২৬/১০/২০২২ #