চলমান সংবাদ

মেরিডিয়ান হসপিটালিটি কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ট দামপাড়াবাসি

হসপিটালিটি শব্দের অর্থ আতিথেয়তা হলেও মেরিডিয়ান হসপিটালিটি লিঃ কর্তৃপক্ষের নিষ্পেষণে নাভিশ্বাস উঠেছে দামপাড়াবাসির।

দামপাড়া পুলিশ লাইনের ঠিক বিপরীতে পূর্বদিকে মেরিডিয়ান হসপিটালিটি লিঃ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে বেইজসহএকটি ২৫ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালের ১লা ফেব্রুয়ারীতে। ভবনের সামনে একটি ছোট কালো সাইন বোর্ডে দেয়া তথ্য অনুযায়ী নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই।  অথচ ২০২২ সালের অক্টোবরে এসে দেখা যাচ্ছে বিল্ডিং এর কাজ শেষ হওয়াতো দূরের কথা, বিল্ডিং এর কাজ প্রায় শেষ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পুণরায় শুরু হয়েছে বিল্ডিং এর অভ্যন্তরে ব্যাপক ভাংচুর। খবর নিয়ে জানা বিল্ডিংটি পাঁচ তারকা হোটেল করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু হলেও মালিক এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। তাই বিল্ডিং এর ভিতরে পার্কিং এর জন্য তৈরিকৃত সিঁড়ি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে এবং সিঁড়ি ভাঙ্গা সম্পন্ন হলে যে গ্যাপগুলো তৈরি হবে তাতে ছাদ জোরা লাগিয়ে ফ্লোর বড় করা হবে। বিল্ডিং এর নক্সা অনুযায়ী যেখানে পার্কিং করার কথা বলে সিডিএ থেকে প্লান পাস করানো হয়েছিল সেই অংশে শপিং মল করার পরিকল্পনা করছে মালিক পক্ষ। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানোর পরেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।

মেরিডিয়ান কর্তৃপক্ষের এধরনের কার্যকলাপের কারণে দামপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিল্ডিং এ ব্যাপক ভাংচুরের কারণে শুকনা সিমেন্ট এবং বালিকনা বাতাসের সাথে মিশে প্রত্যেকের ঘরের ফ্লোর এবং আসবাবপত্র,কাপড়-চোপর নোংরা হয়ে যাচ্ছে। নূর করিম নামে এলাকার একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, “মেরিডিয়ানের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে গেছি। প্রতিদিন দুই-তিন বার করে ঝাড়ু দিয়েও ঘর এবং আসবাবপত্র পরিস্কার রাখা যাচ্ছেনা”। এছাড়া অনবরত ভাঙ্গার শব্দে এলাকায় প্রচন্ড শব্দ দূষন হচ্ছে। এধ্রনের অত্যাচার দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে দামপাড়াবসিদের সহ্য করতে হচ্ছে।

জনাব নুর করিম প্রশ্ন রাখেন, এই বহুতল ভবন  তৈরির মাঝখানে নক্সা পরিবর্তন করার সুযোগ আছে কিনা কিংবা পরিবর্তিত নক্সায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে কিনা?

এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারা জানান এই বহুতল ভবনটি এমনিতে এলাকার জন্য অভিশাপ হিসাবে দেখা দিয়েছে। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকায় পানি উঠে যায়। অথচ একসময় সারা চট্টগ্রাম ডুবে গেলেও এই এলাকায় পানি উঠতোনা। এলাকাবাসি মনে করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে মানুষকে এমন দুর্ভোগে পড়তে হতোনা।

# ১০/১০/২০২২, চট্টগ্রাম #