চলমান সংবাদ

কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর রাংগুনিয়ার সন্তান মোহাম্মদ শিয়াকত আলী

কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর বাংলাদেশি!
আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলে ম্যাচ পরিচালনায়  নিযুক্ত রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন বাংলাদেশের এক কৃতি সন্তান মোহাম্মদ শিয়াকত আলী।
তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়ম নগরের বাসিন্দা। তিনি কাতারের ফুটবল জগতে বাঙালি কুরা হাকাম মুহাম্মদ শেখ আলি নামে বেশি পরিচিত। খেলোয়াড় কোটায় ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাতারে যান । যাওয়ার তিন মাস পরে বার্সোলনা একটি ফুটবল প্রজেক্টের মাধ্যমে কাতারে রেফারি হওয়ার সন্ধান পান। সেখান থেকে পথচলা শুরু হয়। স্কুলশিক্ষক বাবু মুক্তি সাধন বড়ুয়ার অনুপ্রেরণায় রেফারিতে জড়িত হয়েছিলেন। বর্তমানে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলি। কাতারে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান স্পায়ার একাডেমি থেকে স্পোর্টস সাইকোলজি অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরই মধ্যে রেফারিংয়ের ওপর কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি  হিসেবে প্রথম ডি ও সি ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করেছেন। আগামী জানুয়ারি মাসে বি ডিপ্লোমা কোর্স শুরু হবে। কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র রেফারি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় মুহাম্মদ শিয়াকত আলির। তিনি বলেন, গত পৌনে ১০ বছর যাবত কাতার ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। কাতারে তালিকাভুক্ত প্রথম শ্রেণির রেফারি। অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচসহ অফিশিয়াল চার হাজার ম্যাচ পরিচালনা করা হয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে ফিফার নিয়োগ দেওয়া চারজন রেফারির মধ্যে চারজনই কাতারের বাসিন্দা। কাতার বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন সারা বিশ্বের ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি ও ২৪ জন ভিডিও ম্যাচ অফিশিয়াল। কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিফা কর্তৃপক্ষ রেফারিদের কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে আমি। আগামী ২০ নভেম্বর থেকে মরুর বুকের ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠের খেলায় না থেকেও যেন জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম।জনাব মোহাম্মদ শিয়াকত আলী বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে এবং  প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে খুবই গর্বিত।নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে বিশ্বকাপে সেরাটা দিয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চান তিনি।