চলমান সংবাদ

“প্রকৃতি বান্ধব জীবন যাপনই উত্তম”

-অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদ

ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, চট্টগ্রাম শাখার চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত । চিকিৎসকদের সংগঠন, ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, চট্টগ্রাম শাখার চতুর্থ সম্মেলন ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২২, বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের শিল্পীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, অধ্যাপক ডা: এম আবু সাঈদ, বলেন প্রকৃতির স্বাভাবিকতার ব্যত্যয় ঘটলেই নতুন নতুন ক্ষতিকর জীবাণুর উদ্ভব ঘটে। তাই মানুষের উচিৎ প্রকৃতিকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া। তিনি বলেন প্রকৃতি বান্ধব জীবন যাপনই উত্তম। অনুষ্ঠানে সন্মানিত বিশেষ অতিথিবৃন্দ ছিলেন ডা: এম, এইচ, ফারুকী (পরিবেশ স্বাস্থ্য গবেষক, ও যুগ্ম সম্পাদক, ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটি), বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আফসার, বাকবিশিস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: জাহাঙ্গীর। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট চট্টগ্রামের সভাপতি ডা: চন্দন দাশ। সভা পরিচালনা করেন ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা: আরিফ বাচ্চু। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট চট্টগ্রামের কোষাধ্যক্ষ ডা: নন্দন মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘প্রেজেনটেশান অব ডার্মাটোসিস’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনার উপস্থাপন করেন ডা. নিবাস চন্দ্র শর্মা। সম্মেলনে চট্টগ্রামের পেশাজীবী, গণসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে ডা. চন্দন দাশকে সভাপতি এবং ডা. আরিফ বাচ্চু কে সাধারণ সম্পাদক করে ডক্টরস ফর হেল্থ এন্ড এনভায়রনমেন্ট এর চট্টগ্রাম শাখার ১১ সদস্য বিশিষ্ট নূতন কমিটি গঠন করা হয়। বক্তাগণ বলেন, আমরা দেখেছি বাংলাদেশে করোনাকালীন চরম অব্যবস্থাপনা, আইসিইউ সহ হাঁসপাতাল বেড এর স্বল্পতা, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও হাসপাতাল এর যন্ত্রপাতির স্বল্পতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দূর্নীতি, করোনার টিকা প্রাপ্তিতে ও প্রদানে ব্যবসায়ীক মনোবৃত্তি ও সজনপ্রীতির কারনে যথা সময়ে টিকা প্রাপ্তিতে ব্যার্থতা, তেল গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি, সরকারী দলের দমন পীড়ন, বাক সবাধীনতা ও ভোটাধিকার হরন, সহ নানাবিধ সংকটে জনজীবন বিপর্যস্ত। বক্তাগণ আরও বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মত টারসিয়ারী লেভেল সরকারি হাসপাতাল আর একটি হয়নি অথচ চট্টগ্রামে মানুষ বেড়েছে অনেক গুন । বক্তাগণ অবিলম্বে চট্টগ্রামে টারসিয়ারি লেভেল আর একটি সরকারি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেন । চিকিৎসকগণ প্রায়ই অস্বাস্থ্যকর, অবৈজ্ঞানিক এবং অনিরাপদ পদ্ধতিতে কাজ করছেন এবং বিভ্রান্তি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এতে করে চিকিৎসক সমাজে হতাশা, অবসাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবন মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাই চিকিৎসকদের সংকট নিরসনে এই সম্মেলন থেকে নিম্ন লিখিত দাবী সমূহ উত্থাপন করা হয়ঃ ১) স্বাস্থ্য সেবায় দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও দলবাজি বন্ধ করতে হবে। ২) সকল বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চাকুরী বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩) নবীন চিকিৎসকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ৪) আন্তঃ ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে। ৫) মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোর উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে হবে। ৬) ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সুলভ ও সহজলভ্য করতে হবে। ৭) প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রন মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন বিএমএ নির্বাচন চাই।

# ২৪/০৯/২০২২, চট্টগ্রাম #