চলমান সংবাদ

মিয়ানমার সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে পা হারানো আহত উইনু চমেক হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে

বাংলাদেশ-মায়ানমার তুমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত উইনু থোয়াইং তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৩) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বাংলাদেশি তরুণ উইনু’র। পা হারানো এই তরুণ একটু পর পর ব্যথায় কঁকিয়ে উঠছেন। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার ৩৫ নম্বর পিলারের কাঁটাতারের কাছে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে গরু আনতে যান উইনুসহ চার যুবক। একপর্যায়ে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইনে পা পড়ে উইনুর। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। উড়ে যায় তাঁর বাঁ পায়ের গোড়ালি। এরপর স্থানীয় যুবকরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উইনু থোয়াইং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু হেডম্যান পাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অংক্য থোয়াইন তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে। চমেক হাসপাতালে যন্ত্রনায় কাতরানো আহত উইনু বলেন, আমরা পাঁচজন গরু খুঁজতে গিয়ে হাঁটছিলাম। সবার সামনে আমি ছিলাম। হঠাৎ বাঁ পা-টা একটি গর্তে পড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর আর কিছু জানি না। গরু খুঁজতে গিয়ে পা-টাই হারালাম। উইনু’র শয্যা পাশে থাকা তার মা গিইয়াংমা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের লড়াই চলছে। আর সেসবের সাতপাঁচে না থেকেও কিনা আমার ছেলেকে পা হারাতে হলো! তাদের কারণে আমার ছেলেটা আর কখনো নিজের পায়ে হাঁটতে পারবে না।’ চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, উইনুর বাঁ পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার পায়ে অস্ত্রোপচার হবে। যতটুকু সম্ভব পা রক্ষা করা যায়, ততটুকু চেষ্টা করা হবে।’

# ১৮.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #