চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ওষুধ-খাবার, নোংরা পরিবেশ
চার প্রতিষ্ঠানকে ৯২ হাজার টাকা জরিমানা

মেয়াদোর্ত্তীর্ণ দই, মিষ্টি, জন্মদিনের কেক ও বিধি না মেনে পণ্যে মোড়ক দেয়ায় ফার্মভিলে ও ফুলকলিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করায় আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নগরের কাঠগড় ও এনায়েত বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, মেয়াদোর্ত্তীর্ণ দই, মিষ্টি, জন্মদিনের কেক রাখায় কাটগড় এলাকার ফার্মভিলেকে ৪০ হাজার ও বিধি না মেনে পণ্যে মোড়ক দেয়ায় ফুলকলিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তাছাড়া নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণের অপরাধে একই এলাকার খাজা হোটেলকে ১২ হাজার টাকা, মেয়াদোর্ত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে এনায়েতবাজার এলাকার অনন্যা ফার্মেসিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে একটি ফার্মেসিসহ ৪ প্রতিষ্ঠান মালিককে ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে সকলকে ভোক্তা অধিকার আইন মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অভিযানকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন ও সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

# ১৫.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

এসএসসিতে চট্টগ্রামে অনুপস্থিত ১ হাজার ৬৮৩, বহিষ্কার ২

এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২১৩টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ১ হাজার ৬৮৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রামে ১ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। চট্টগ্রাম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কী কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, চট্টগ্রামে ১২৫ কেন্দ্রে ১ লাখ ১ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ৯৯ হাজার ৮৫৮ জন। অনুপস্থিত ১ হাজার ১৯৬ জন। কক্সবাজারে ২৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ২১ হাজার ১৩৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং অনুপস্থিত ২৬২ জন। রাঙামাটি জেলায় ২১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৬ হাজার ৫৬১ জনের মধ্যে অংশ নেয় ৬ হাজার ৫০১ জন। অনুপস্থিত ৬০ জন পরীক্ষার্থী। খাগড়াছড়ি জেলায় ২৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৭ হাজার ৩৬৮ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৭ হাজার ২৬৪ জন এবং অনুপস্থিত ১০৪ জন। বান্দরবান জেলায় ১৫টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩৫৬ জনের মধ্যে অংশ নেয় ৪ হাজার ২৯৫ জন এবং অনুপস্থিত ৬১ জন পরীক্ষার্থী। ২১৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৬৮৩ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৮৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সর্তকতা ছিল। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে সম্পন্ন করতে ৮টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। # ১৫.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

ওয়াসার পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু আইইডিসিআর’র তদন্ত প্রতিবেদন চলতি বছরের আগস্টে

নগরের বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল। নগরীর হালিশহর, ইপিজেড পতেঙ্গাসহ আশেপাশের এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্তদের ৮০ শতাংশ পানীয় জলের মূল উৎস ছিল ওয়াসার পানি। যাদের ৬৪ শতাংশ মানুষ কোনো প্রকার পানি বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত ১৯-২৫ আগস্ট আইইডিসিআরের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল সরেজমিনে রোগী, এলাকার পরিবেশ, পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। সম্প্রতি আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, প্রতিবেদনে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআইটিআইডিতে আগস্ট মাসে মোট ৮৯৮ জন নতুন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। এছাড়া কমিউনিটি পর্যায়ে তদন্ত দল আরও ১৩১ জন ডায়রিয়া রোগী শনাক্ত করে। বিআইটিআইডিতে ভর্তি রোগী ও কমিউনিটি পর্যায়ে শনাক্তকৃত রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বিভিন্ন এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। তদন্ত চলাকালে ১৯০ জন রোগীর বিস্তারিত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৬ জন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬৪ জন ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ২২ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে রয়েছে ৪৮ শতাংশ নারী ও ৫২ শতাংশ পুরুষ। তাদের মধ্যে ২৭ শতাংশ পেশায় কল-কারখানার ও পোশাক কারখানার কর্মী। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাদুর্ভাব এলাকায় গভীর নলকূপ থাকা সত্ত্বেও পানিতে আয়রণের উপস্থিতি ও লবণাক্ততার কারণে অধিকাংশ অধিবাসী তা পান করার পরিবর্তে গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক অংশে পরিচ্ছন্নতার অভাব দেখা গেছে। প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে ৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে অধিবাসীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয় চট্টগ্রামের সহায়তায় পানি বিশুদ্ধকরণ (ক্লোরিন) ট্যাবলেট বিতরণের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগকে আরও সক্রিয় করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা নিয়ে ওই ওয়ার্ডসমূহে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা ও নিয়মিত তদারকি করার আহ্বান জানানো হয়। চট্টগ্রাম ওয়াসার সঙ্গে আলোচনা করে পানি সরবরাহ লাইন নিয়মিত সংস্কারপূর্বক নিরাপদ রাখার পাশাপাশি পানিতে ক্লোরিনের আদর্শ মাত্রা বজায় রাখার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এছাড়া পানির জলাধার (ট্যাংক) নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার লক্ষে নগরবাসীকে সচেতন করার কথা বলা হয়েছে। # ১৫.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

ঋণখেলাপি দায়ে হাবিব স্টিল মিলের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

শিল্প পরিবার হাবিব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাবিব স্টিল মিলের ২৮০ শতক জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ৯১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতের ইস্টার্ন ব্যাংকের করা এক মামলায় এই আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ নির্দেশ দেন। আদালত সূত্র জানায়, হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হাবিব স্টিল লিমিটেডের কাছে ৯০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার। এই পাওনা আদায়ে চলতি বছরের ৫ জুন চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে ইস্টার্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল কাদের, ইয়াসিন আলী ও ইয়াকুব আলীকে বিবাদী করা হয়। ব্যাংকটি বিবাদি পক্ষের মালামাল ক্রোকের আবেদন করে। আদালত সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদেশ দিয়েছেন। অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, মামলায় বাদিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত হাবিব স্টিলের সীতাকুণ্ডের জাহানাবাদ এলাকার ২৮০ শতক জমি ক্রোকের নির্দেশ দেন। এর আগে আরেকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলায় গত ৮ আগস্ট হাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (ষষ্ঠ আদালত)। আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের করা ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক প্রতারণার তিনটি মামলায় হাবিব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান হাবিব এবং তিন পরিচালক ইয়াসিন আলী, মাশরুপ হাবিব, তানভীর হাবিবের বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে ৪২ কোটি টাকা ঋণখেলাপির দায়ে হাবিব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, পরিচালক সালমান হাবিব, ইয়াসিন আলী, মাশরুর হাবিব ও তানভীর হাবিবের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। # ১৫.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #