চলমান সংবাদ

বন্দরনগরীতে ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৩টি পয়েন্টে

 চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু করেছে খাদ্য অধিদফতর। ওএমএস’র বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় নগরের ১৪টি পয়েন্টে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আরও ১৯টি পয়েন্টে চলছে এ কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে চাল ও আটা বিক্রি শুরু করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। খাদ্য নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন নগরীর ১৪টি পয়েন্টে ১৪টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ট্রাকে ২ মেট্রিকটন করে চাল থাকবে। এছাড়া নগরের ১৯টি পয়েন্টে নির্ধারিত ডিলারের দোকানে প্রতিদিন ২ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৫০০ কেজি আটা বিক্রি করা হবে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ১৮ টাকায় ৫ কেজি আটা কেনা যাবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায়ও শুরু হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আওতায় ১৫ উপজেলার ৮০ হাজার ৬৯৪ পরিবার প্রতি মাসে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামী তিন মাসব্যাপী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে চলবে। প্রতিদিন নগরীতে ১৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি আমাদের নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে নগরের ১৯টি পয়েন্টে দোকান থেকে চাল ও আটা কিনতে পারবেন। একই কর্মসূচি চলবে সকল পৌরসভা ও উপজেলাগুলোতেও। # ০১.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

ওয়ারিশান সনদ নিতে ঘুষ নিতেন চসিক কাউন্সিলর কার্যালয়ের দুই অফিস সহায়ক

ওয়ারিশান সনদ দিতে ঘুষ নেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-চসিক’র সংরক্ষিত এক কাউন্সিলর কার্যালয়ের দুই অফিস সহায়ক। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে সেই কাউন্সিলর কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম তাদের প্রাথমিকভাবে আটক করলেও কাউন্সিলর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেয়ায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। দুদক সূত্র জানায়, নগরীর ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী, ২৫ নম্বর রামপুর ও ২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটি। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক’র নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় সঙ্গে ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক মো. হামেদ রেজা। এসময় কাউন্সিলর কার্যালয়ের দুই অফিস সহায়ক জসিম ও শাহেদকে ওয়ারিশান সনদ দিতে ঘুস নেয়ার অভিযোগে আটক করা হয়। দুদক জানায়, তারা ঘুস নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ বিষয়ে কাউন্সিলর জানতেন না বলে জানিয়েছেন জসিম ও শাহেদ। দুদক কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম বিউটির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল ওয়ারিশান সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুস নিতেন। এ নিয়ে আমরা কাউন্সিলরের অফিসে অভিযান চালিয়েছি। মূলত অফিসের দুই অফিস সহায়ক ওয়ারিশান সনদ দিতে বকশিস নিতেন। বিষয়টি কাউন্সিলর জানতেন না। এখন দুই অফিস সহায়ক জসিম ও শাহেদ বিষয়টি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। কাউন্সিলর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। # ০১.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #

আদালত অবমাননার দায়ে চউক চেয়ারম্যান-সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি

আদালত অবমাননার দায়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রকাশ ডলফিন, চউক সচিবসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন চট্টগ্রাম প্রথম শ্রম আদালত। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালত মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট আদালতের রায়-আদেশ লংঘন ও অমান্য করার অভিযোগে শ্রম আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, সচিব আনোয়ার পাশা, উপ-সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, চউক’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ও অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের। আদালত সূত্রে জানা যায়, বৈধ ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে চউক’র উচ্চমান সহকারী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ অপসারণ (টারমিনেশন) অর্থ্যাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান। যার মামলা নম্বর ০৯/২০১৪। চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই অপসারণ (টারমিনেশন) আদেশ বাতিল করে আদালত রায় দেন। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান পূর্বক স্বপদে ও সবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। গত ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান সশরীরে চউক’এ গিয়ে চাকরিতে যোগদানপত্র দাখিল করেন। একই তারিখে যোগদানপত্র যথানিয়মে রেজি: ডাকযোগেও প্রেরণ করা হয়। গত ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়নি। গত ৩১ আগস্ট আদালত অবমাননার মামলা করেন হাবিবুর রহমান। মামলায় বলা হয়, ৫ জনই একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি। যা আদালতের রায়ের প্রতি সরাসরি অবজ্ঞা প্রদর্শন করা। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নান চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বরাবরে হাবিবুর রহমানের চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করে লিখিত সুপারিশপত্র প্রেরণ করেন। ৩০ কার্যদিবসে আসামি ৫ জন পরস্পর পরস্পরের যোগসাজশে স্বপদে হাবিবুর রহমানকে যোগদান না করে, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে, মিথ্যার আশ্রয় ও ছলচাতুরির আশ্রয় গ্রহণ করে। ইচ্ছাকৃতভাবে ও অভ্যাসগতভাবে আইন ও আদালতে রায়-আদেশ, রোয়েদাদ, সিদ্ধান্ত লংঘন ও অমান্য করার অভিযোগে শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২৮৩, ২৯২, ২৯৩, ৩০৩ ও ৩০৭ ধারা অনুসারে। আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বলেন, আদালত অবমাননার দায়ে প্রথম শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলাটি আদালত গ্রহণ করে ৫ আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। সমন কোতোয়ালী থানায় পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে ৫ জনকে জামিন নিতে বলা হয়েছে। # ০১.০৯.২০২২ চট্টগ্রাম #