চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সংবাদ

চট্টগ্রামে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ২

নগরীতে এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা ও এতে সহায়তার অভিযোগে এক ব্যক্তি ও তার কথিত স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। উদ্ধার কিশোরীর বয়স ১৩ বছর। টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায় তার বাড়ি। সেখানে একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। গ্রেপ্তারকৃতরা ওই কিশোরীকে টাঙ্গাইল থেকে এনে চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় আটকে রেখে ‘পতিতাবৃত্তিতে’ বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এক রাতে ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে কিশোরী দা নিয়ে ধাওয়া করে নিজেকে রক্ষা করে। গত শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকায় এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধারের পাশাপাশি দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দু’জন হল- সাদিয়া আক্তার রুনা (১৯) ও মো. ফরিদ (২৮)। তাদের মধ্যে রুনার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও ফরিদের বাড়ি লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলায়। ফরিদ সিএনজি অটোরিকশা চালক। র‌্যাব-৭’র হাটাহাজারী ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘রুনা ও কিশোরী টাঙ্গাইলে পরস্পরের প্রতিবেশি এবং তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ছিল। রুনা কিশোরীকে চট্টগ্রাম শহরে এনে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। রুনাকে বিশ্বাস করে কিশোরী বাসায় কাউকে কিছু না বলে গত ১ আগস্ট টাঙ্গাইল থেকে চট্টগ্রামে চলে আসে। ফরিদ বাস কাউন্টার থেকে নিজের অটোরিকশায় করে তাকে ছোটপুল এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে যায়। বাসাটি রুনা ও ফরিদ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওইদিনই ভাড়া নিয়েছিল।’ র‌্যাব কর্মকর্থা বলেন, ‘বাসায় পৌঁছার পর কিশোরীকে একটি কক্ষে রাখা হয়। দুইদিন পর রুনার কাছে ফরিদের পরিচয় জানতে চায় কিশোরী। রুনা তাকে স্বামী পরিচয় দিয়ে বাসায় অবস্থানের জন্য আশ্বস্ত করে। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় কিশোরী টাঙ্গাইলে ফিরে যাবার কথা বলে। কিন্তু তিনি যাতে ফিরতে না পারে সেজন্য রুনা তার টাকা পয়সা নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়। কিশোরীর ভাষ্যমতে, গত ৩ আগস্ট রাতে ফরিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু বটি নিয়ে ধাওয়া করায় ফরিদ পালিয়ে যায়।’ র‌্যাব কর্মকর্তা মাহফুজ জানান, মেয়ের সন্ধানে কিশোরীর বাবা ঘাটাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপশি চট্টগ্রামে মেয়ের অবস্থান জানতে পেরে র‌্যাব-৭ বরাবর মেয়েকে উদ্ধারের আবেদন করেন। এর ভিত্তিতে ছোটপুল এলাকার একটি টিনশেড বাসা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে রুনা ও ফরিদকে গ্রেফতার করা হয়। তারা কিশোরীকে আটকে রেখে ধীরে ধীরে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার পরিকল্পনা নিয়েছিল। # ০৭.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন। রোববার (৭ আগস্ট) নগরীর জিইসি মোড়, গোলপাহাড় মোড়, এশিয়ান হাইওয়ে, শুলকবহর, বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এবং শাহ আমানত সেতু সড়কের নতুন চান্দগাঁও থানা পর্যন্ত রাস্তা ও ফুটপাতের উভয় পাশে অবৈধ স্থাপনাসহ দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত। চসিক’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এতে অংশ নেন সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুনাইদ কবির সোহাগ। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল রাস্তা ও ফুটপাতে রেখে যানবাহন ও জন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া চসিক’র স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন পরিচালিত অপর এক অভিযানে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার বিভিন্ন সড়কের উভয় পাশের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল ও নির্মাণসামগ্রী রাখার দায়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের নিচে এডিস মশা বংশ বিস্তারের উপযোগী জমাটবদ্ধ পানির উৎস পাওয়া যায়। ওই পানি ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয় এবং আগামীতে পানি জমা থাকলে তা দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভবন মালিককে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। এদিকে সরকারি কলোনিতে অবৈধভাবে বসবাসরত ১১ পরিবারের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল রোববার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরের ২ নম্বর গেইটের নাছিরাবাদ সিএন্ডবি সরকারি কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরকারি কলোনি থেকে ১১ অবৈধ পরিবারের বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি জায়গা উদ্ধারে এ অভিযান চলমান থাকবে।
# ০৭.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের চাকায় ত্রুটি শাহ আমানতে দু’ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমান উঠা-নামা

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণকালে একটি বিমানের চাকায় ত্রুটি দেখা দেয়ায় দু’ঘণ্টা ধরে বন্ধ ছিল ফ্লাইট উঠা-নামা। এতে করে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। রবিবার (৭ আগস্ট) বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের চাকায় ত্রুটির কারণে এই সমস্যা হয় বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বিমানটিকে সরিয়ে নেওয়ার পর রানওয়ে চালু হয়। জানা গেছে, বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান অবতরণের পর চাকায় ত্রুটি দেখা দেয়। তখন রানওয়েতে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রশিক্ষণ বিমানটিকে পরে টেনে পার্কিং এলাকায় নেওয়া হয়। রানওয়ে বন্ধ থাকায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধাঘণ্টা পর শাহ আমানত বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন, বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণকালে একটি বিমানের চাকায় ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এ কারণে অন্যান্য ফ্লাইট চলাচলসহ রানওয়েতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় দু’’ঘণ্টা বিমান ওঠা-নামা বন্ধ ছিল। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হয়েছে। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকাগামী একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ছেড়ে যেতে বিলম্ব হয়েছে। যাত্রীদের একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে বিমানটি পরে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে।
# ০৭.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #

বন্দরনগরীর বাস-মিনিবাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে সিএমপি’র পদক্ষেপ

নগরের বিভিন্ন রুটে দাপিয়ে বেড়ানো বাস-মিনিবাসগুলোকে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। আগামী ১০ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ কাজের জন্য তাদের হাজির হতে বলা হয়েছে। রবিবার (৭ আগস্ট) সিএমপি ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১০ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বাস-মিনিবাসের জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে এই সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। এর আগে, গত ২৩ মে বিআরটিএ চট্ট-মেট্রো আরটিসি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জরিপ কার্যক্রম চলাকালীন নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী রুট ভিত্তিক চলাচলকারী বাস-মিনিবাসগুলো নগরের জমিয়াতুল ফালাহ্ মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে হাজির করতে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে মালিক শ্রমিকদের অনুরোধ করা হয়েছে। সূচী অনুযায়ী, ১, ২ ও ৮ নম্বর রুটে চলাচলরত গাড়ি ১০ এবং ১১ আগস্ট, ৩ নম্বর রুটের গাড়ি ১৩ আগস্ট, ৪ নম্বর রুটের গাড়ি ১৪ আগস্ট, ৫ ও ৬ নম্বর রুটের গাড়ি ১৬ এবং ১৭ আগস্ট, ৭ নম্বর রুটের গাড়ি ২০ এবং ২১ আগস্ট, ১০ নম্বর রুটের গাড়ি ২২ এবং ২৩ আগস্ট, ১১ নম্বর রুটের গাড়ি ২৪ আগস্ট, ১৪ থেকে ১৮ নম্বর রুটের গাড়ি ২৫ আগস্ট এবং ইপিজেড রুটের গাড়ি ২৭ আগস্ট হাজির করতে হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পিআর (এডিসি) শাহাদাত হুসেন রাসেল বলেন, ‘গাড়িসহ চালকদের হাজির হতে হবে। কাগজপত্র ভেরিফাই করা না থাকলে তা পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া কি পরিমাণ ফিটনেসবিহীন গাড়ি রুটে চলছে তার একটি ডাটা তৈরি করা হবে এই জরিপে।’

# ০৭.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #