চলমান সংবাদ

২২ অক্টোবর দেশব্যাপী গণ-অনশন কর্মসূচির ডাক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের

সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতনসহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবিতে আগামী ২২ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা গণ-অনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত এই ঘোষণা দেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সমাবেশ থেকে বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্যে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়। ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক হামলার এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ নয়। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বিতারণ করে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করতেই দেশব্যাপী একের পর এক পরিকল্পিতভাবে এসব সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে আজ আর উড়িয়ে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করি নাই। তিনি বলেন, ৭৫’এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়া-এরশাদ এ দেশকে সাম্প্রদায়িত রাষ্ট্রে পরিনত করার কাজ শুরু করে। সংবিধানকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রধর্ম সংবিধানে সংযোজন করে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতিসত্তা বিভাজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এল, আমরা আশা করেছিলাম, সাম্প্রদায়িক হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। কিন্তু আমাদের সব আশায় ছাই দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা শুধু অব্যাহত নয়, বরং বেড়েছে। তিনি সকল সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। রানা দাশগুপ্ত বলেন, সরকারি দলের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে যে লড়াই, এই লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আমি আজকের এই সমাবেশ থেকে আগামী ২২ অক্টোবর (শনিবার) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এই গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হওয়ার পরে আমরা আবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. জিনবোধি ভিক্ষু, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, উত্তর জেলার সভাপতি ইন্দু নন্দন দত্ত, দক্ষিণ জেলার সভাপতি তাপস হোড়, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, কাউন্সিলর নীলু নাগ, কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত, অর্পন সমদ্দার, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের শংকর সেনগুপ্ত, আশুতোষ সরকার, কাজলপ্রিয় বড়–য়া, রিপন সিংহ প্রমুখ। সমাবেশে শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের চেরাগী চত্বর থেকে শুরু হয়ে লালদীঘির পাড়ে গিয়ে শেষ হয়। # ১৬.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #