চলমান সংবাদ

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা, ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজের

 চাল, ডাল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। এরমধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানেও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। সবজির বাজারেও স্বস্তি নেই। অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ৫০ টাকার বেশি।। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (১ জুলাই) নগরের কর্ণফুলী মার্কেট ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিকেজি শসা ৮০, লম্বা বেগুন ৮০, করলা ৭০, লাউ প্রতি পিস ৬০, চাল কুমড়া পিস ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ৫০, পটল ৫০, কচুর লতি ৬০, ঢেঁড়স ৫০, পেঁপে ৫০ ও ধুন্দল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সেকান্দর বলেন, বাজারে যে পরিমাণে চাহিদা তার চেয়ে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কমে গেছে। তাই সবজির বাজারটা এখন চড়া। এদিকে এক সপ্তাহ পার হলেও স্বস্তি ফেরেনি পেঁয়াজের বাজারে। খুচরায় গত সপ্তাহের মত গতকালও বড় আকারের পেঁয়াজ ৬০ টাকা ও মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বড় আকারের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫২ টাকা এবং মাঝারি আকারের পেঁয়াজ ৪৩ টাকায় বিক্রি হয়। খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, কৃষকদের লাভবান করতে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রেখেছেন। ফলে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ না থাকায় দেশি পেঁয়াজের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম কমছে না। তাছাড়া বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি ৮৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৯০ টাকা, দেশি মুশুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মুশুরের ১১০ ও প্যাকেট আটা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে দাম আগের মতোই রয়েছে। বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামেও পরিবর্তন আসেনি। বাজারে প্রতিকেজি রুই-কাতল আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০, তেলাপিয়া-পাঙাস ১৫০ থেকে ১৮০, শিং মাছ ৩০০, শোল ৪০০, কৈ মাছ ১৮০ থেকে ১৯০ ও পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০, বোয়াল ৪০০, সিলভার কার্প ২০০, সমুদ্রের কোরাল ৪৫০ ও মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০, সোনালি মুরগি ২৯০ ও লেয়ার ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। # ০১.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #