চলমান সংবাদ

পিসিপি’র ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বক্তারা

-পাহাড়ে অরাজকতা নিরসণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাহাড়ে প্রতিদিন কোনো না কোনোভাবে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। পাহাড়ে প্রতিটি জাতিত্তাদের সংগঠন করে দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পাহাড়ে সেনা ক্যাম্পের নামে ভূমি বেদখল, পর্যটনের নামে ভূমি বেদখল সর্বশেষ লামায় রাবার বাগানের নামে ভূমি বেদখল ৯৭সালে আওয়ামী লীগ ও জেএসএস এর পার্বত্য শান্তি চুক্তির লঙ্গন। পাহাড়ে এই ধরনের অরাজকতা নিরসণে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে পিসিপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘শাসকচক্রের নীল নকশা ভেস্তে দিতে ছাত্র-জনতা এক হোন, দালাল প্রতিক্রিয়াশীল ও লেজুড়দের মুখোশ উন্মোচন করে দিন, পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াই জোরদার করুন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমা। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল চিকিৎসক ডা. সুশান্ত বড়–য়া, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীতি চাকমা, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম পূর্ব-৩ অঞ্চলে সভাপতি ভূলন ভৌমিক প্রমূখ। বক্তারা বলেন, পাহাড়ি নারীরা আজ কোথাও নিরাপদ নয়। তাদেরকে নিজ বাড়িতেও ধর্ষণ-নির্যাতেনের শিকার হতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও সাজেক পর্যটন এলাকা কংলাক পাড়ায় সেটলার কর্তৃক এক ত্রিপুরা কিশোরী ও বান্দরবানে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ত্রিপুরা নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এ যাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী ধর্ষণ-খুন-নির্যাতনের যত ঘটনা ঘটেছে সেসব ঘটনারও কোন সুস্থ বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেয়া হয়নি। এই বিচারহীনতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের ওপর ধর্ষণ-নির্যাতন-খুন-অপহরণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। # ২০.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #