চলমান সংবাদ

দীর্ঘ ৪ বছরেও মেহেরুন নেছা পাওনা পাচ্ছেন না

মেহেরুন নেছা, বয়স পঞ্চাশোর্ধ। ১৭১-১৮১ বায়েজিদ বোস্তামী রোডে অবস্থিত শিরিনা গার্মেন্টস এ চাকরি করতেন। তার সর্বশেষ পদবী ছিল সিনিয়র মেশিন অপারেটর। তিনি চাকরিতে যোগদান করেন পহেলা জুন ২০০৪ সালে। বয়সের কারনে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিগত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে চাকরি হতে রিজাইন দিতে বাধ্য করে। মেহেরুন নেছার চাকরির বয়স প্রায় ১৪ বছর হয়েছিল। শ্রম আইনের ২৭ ধারা অনুযায়ী রিজাইন দেয়ার পর তিনি ১৪টি মূল মজুরির সমান টাকা এবং একইসাথে তার অব্যায়িত অর্জিত ছুটির টাকা প্রাপ্য। তার সর্বশেষ মোট মজুরি ছিল ৯৮০০ টাকা, সে হিসাবে তার মূল মজুরি হবে ৫৩২৫ টাকা। শ্রম আইন অনুযায়ী তিনি চাকুরির ক্ষতিপূরণ হিসাবে (৫৩২৫ X ১৪) =৭৪৫৫০ টাকা  এবং তার অব্যায়িত ছুটির টাকা বাবদ (৯৮০০/৩০ X ৪০) = ১৩০৬৬ টাকা অর্থাৎ তার মট প্রাপ্য ৮৭৬১০ টাকা মাত্র। এটা ১৪ বছর চাকরি করার কারনে তার নিয়োগকর্তা থেকে তার প্রাপ্য। শ্রম আইনের ১২৩(২) ধারা অনুযায়ী চাকরি অবসানের ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক হলেও দীর্ঘ ৪ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও অদ্যাবধি মেহেরুন নেছা তার পাওনা পাচ্ছেন না। শিরিনা গার্মেন্টস বাংলাদেশের অন্যতম গ্রুপ অফ কোম্পানীজ সান ম্যান গ্রুপ্রের একটি অংগ প্রতিষ্ঠান। মেজর মান্নান এ গ্রুপের কর্ণধার। তিনি শ্রমিকদের পাওনা না দিলেও মাঝে মধ্যে  ওমরা হ্বজ করার সৌদি আরবে যাতায়াত করেন বলে শুনা যায়। অথচ হাদীসে আছে শ্রমিকের ঘাম শুকাইবার আগে তার পাওনা পরিশোধ করতে হবে। হতভাগা মেহেরুন নেছার ঘাম শুকানোর পর রক্ত পর্যন্ত শুকাই গেছে কিন্তু তিনি তার পাওনা পাচ্ছেন না। দীর্ঘ চার বছর তিনি বহুবার কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। তাকে শুধু আশ্বাস দেয়া হয় কিন্তু তার পাওনা পরিশোধ করা হয়না।

এ ব্যাপারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হট নম্বরে ফোন করে অভিযোগ করে বিগত ৯ মে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আশা করি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মেহেরুন নেছা তার প্রাপ্য টাকা দ্রুত পেয়ে যাবে।

# ১৩/০৫/২০২২, চট্টগ্রাম #