মতামত

সমাধান তো সহজ, তবু রাষ্ট্রযন্ত্র সে পথে যেতে নারাজ কেন?

– ডাঃ আরিফ বাচ্চু

কেন ভোজ্য তেলের মূল্য অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার পরও রাষ্ট্র ও সরকারের কর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে!!!! নিম্নের ব্যবস্থা গুলো কেন বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছেনা? কাদের স্বার্থে?? ১) সরকারের পক্ষে জানা সম্ভব, বাংলাদেশে কত লিটার ভোজ্য তেল, প্রতি দিন তৈরী হয় ও কোন কোন কারখানায় তা তৈরী হয়, এবং এও জানা সম্ভব প্রতি দিন কত লিটার বাজারজাত হয় ও কোন কোন ব্যবসায়ী তা ক্রয় করে। ২) বাংলাদেশে কোন কোন আমদানীকারক কত লিটার ভোজ্য তেল আগামী ২ মাসের মধ্যে আমদানীর জন্য এলসি করেছে ও ইতিমধ্যে কত লিটার বন্দরে কিংবা বন্দরের কাছা কাছি এসেছে তাও সরকারের পক্ষে জানা সম্ভব। ৩) যেহেতু উপরোল্লিখিত বিষয় গুলো সরকারের পক্ষে জানা সম্ভব, সেহেতু রাষ্ট্রযন্ত্র সমূহ চাইলেই এটা বের করতে পারে, কোন কোন ব্যবসায়ীদের কাছে কত লিটার তেল মজুত আছে। এবং সে অনুযায়ী সরকার চাইলেই বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে। এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। ৪) সরকার চাইলেই সাময়ীক সময়ের জন্য অপরিশোধিত ভোজ্য তেল ও বোতলজাত ভোজ্য তেল এর আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহার করে ভোজ্য তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করতে পারে। ৫) সরকার চাইলেই সাময়িক সময়ের জন্য, টিসিবির মাধ্যমে সরকারি ভাবে ভোজ্য তেল আমদানি করতে পারে, ও সরকারি মজুত তৈরী করতে পারে, যাতে প্রয়োজনে বাজারজাত করে মূল্য স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা নিতে পারে। ৬) ভোজ্য তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, প্রতিটি এলাকায় রেশনের দোকানের মাধ্যমে বা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে, সরকারি ভাবে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়। ৭) ভোজ্য তেল উৎপাদন করার সরকারি ও বেসরকারি বন্ধ কারখানা গুলো চালু করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।