শিল্প সাহিত্য

ভুত-পেত্নির আজব প্রেম

-রুখসানা বিলকিস (শান্তা)

পেত্নিটার খুব বাড় বেড়েছে,
পিড়ীত করার শখ হয়েছে।
শ্মশান ঘাটের ভুতটাকে তার,
মনে নাকি ধরল এবার।
আমায় এসে বলল সে যে,
প্রেম request ভুতকে দিতে।
আমি বলি “পারব নাকো”!
বলে আমায় “ঘাড় মটকাবো”।
ভয়ে আমি ভিমড়ি তো খাই!
শ্মশাণ ঘাটে কেমনে যে যাই?
অনেক কষ্টে সাহস নিয়ে,
বললাম আমি ভুতকে গিয়ে।
হলদেটে দাঁত বের করে ভুত,
খুশির দু’চোখ করে কুতকুত।
কেউ নাকি এমন offer,
আগে তাকে দেয়নি তো আর!
বট গাছের ছালটি দিয়ে,
গায়ে দিল dress বানিয়ে।
পাতা দিয়ে বানায় জুতো,
থাকলে তেল মাথায় দিত।
এবার ready মামদো ভুত,
বলে আমায়, “চল্ রে মানুষের পুত”!
চললাম তার পিঠে মিশে,
উড়লো ভুত হাওয়ায় ভেসে।
land করলাম শেওড়া গাছে,
পেত্নি আছে বউটি সেজে।
চুল ছড়িয়ে নত মুখে,
ভুতকে দেখে লাজুক চোখে।
পেত্নিকে দিল ঘেটু ফুল,
তাই পেয়ে সে হাসে কুলকুল।
আমার পাণে নাই মনযোগ,
কখন জানি হই তাদের ভোগ!
পালাই,পালাই,জলদি পালাই,
নইলে আমার রক্ষা যে নাই!
বন পেরিয়ে,মাঠ পেরিয়ে,
জুতো দু’খান মাথায় নিয়ে-
দিলাম এক ছুট্-
আমি যে মানুষের পুত্ গো মানুষের পুত্।
রুখসানা বিলকিস (শান্তা) সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী।