১০ ঘণ্টা কাদায় আটকে ছটফট করা হাতিকে উদ্ধার করলো রাঙ্গুনিয়ার গ্রামবাসী

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের এক গ্রামে প্রায় দশ ঘণ্টা কাদায় আটকে থাকার পর একটি হাতিকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে স্থানীয় গ্রামবাসী।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শিলক ইউনিয়নের চা বাগানের পাদদেশের একটি এলাকার অধিবাসী সৈয়দ হোসেন প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন যিনি আগে বন বিভাগেই ওই অঞ্চলে কাজ করেছেন।
মি. হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলছেন যে শনিবার দুপুর একটা নাগাদ হাতিটিকে স্থানীয় লোকাজনই উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
“আমরা ধারণা করছি ভোর রাতের দিকে হয়তো হাতিটি গভীর কাদায় আটকা পড়ে। সকাল নয়টার দিকে মানুষজন সেটা টের পায়। পরে বন বিভাগের লোকজনও এসেছে। দুপুর একটা নাগাদ স্থানীয় মানুষ হাতিটিকে টেনে তুলতে সমর্থ হয়,” বলছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা যেটুকু খবর পেয়েছেন তাতে করে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই ওই এলাকায় হাতিটি বিচরণ করছিলো।
আশেপাশের এলাকার লোকজন ধাওয়া করেছিলো এবং পরে এটি নরম মাটিতে আটকা পড়ে ভোররাতের দিকে।
“শেষ পর্যন্ত আজ দুপুরে ৩০/৪০ জন মানুষ রশি দিয়ে বিশেষ কৌশলে বেঁধে হাতিটিকে টেনে তোলে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে হাতিটিকে তোলা গেছে,” বলছিলেন তিনি।

স্থানীয় ফরেস্ট গার্ড প্রদীপ লাল সাহা জানান, তারা মানুষজনের সহায়তায় টেনে তোলা মাত্রই হাতিটি পাশের জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
রাঙ্গুনিয়া সদর উপজেলা থেকে ১০/১২ কিলোমিটার ভেতরের দিকে শিলক ইউনিয়নের এই জায়গাটিতে মাঝে মধ্যেই হাতির দল বিচরণ করতে দেখা যায়।
এমনকি সেখানকার সব জমিতেও হাতির কারণে চাষাবাদ করা যায় না।
মি. সাহা বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পরই হাতিটি কাদায় আটকা পড়েছিলো।
যদিও সৈয়দ হোসেন বলছেন হাতিটির অবস্থা দেখে তার ধারণা যে মধ্যরাতের দিকে হয়তো হাতিটি আটকা পড়ছিলো এবং কাদা মাটি থেকে আর উঠতে পারেনি।

তবে সকাল নাগাদও হাতিটিকে মাঝে মধ্যে কাদা ঠেলে উঠতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে এবং ধীরে ধীরে ক্রমশ তা দুর্বল হয়ে পড়ছিলো।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ জানে আলমের বাড়ি সেখানেই এবং বর্তমানে তিনি ছুটিতে সেখানেই অবস্থান করছেন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, তারা খবর পেয়েই ঘটনাটি বনবিভাগ ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।
“স্বস্তির বিষয় হলো দুপুর একটা নাগাদ হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেটি জঙ্গলের দিকে চলে গেছে।”
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা