চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে কমতে শুরু করেছে ডায়রিয়ার প্রকোপ

সপ্তাহ দুয়েক আগ থেকে চট্টগ্রামে বাড়তে শুরু করা ডায়রিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালেও ভর্তি হচ্ছে কম। পাশাপাশি সুস্থতার হারও আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এখনও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এপ্রিল ও মে মাস হচ্ছে ডায়রিয়া প্রকোপ বৃদ্ধির সময়। তাই এ সময়টুকু সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সপ্তাহখানেক আগেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি ছিল গড়ে ৬ জনের বেশি। তবে গেল দুই দিনে ওয়ার্ডটিতে নতুন করে কোন রোগী ভর্তির খবর পাওয়া যায়নি। একই পরিস্থিতি হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডেও। বিভাগটিতে বর্তমানে ডায়রিয়া রোগী নেই। এদিকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পৃথক ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী কমতে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলোর সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যে এসব জানা যায়। অন্যদিকে নগরের চেয়ে গ্রাম পর্যায়ে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেলেও সেখানেও এখন সহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। এদিকে, এপ্রিল ও মে মাসে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পায় বলে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিটি ইউনিয়নে ও উপজেলা পর্যায়ে ২৮৪টি মেডিকেল টিম গঠনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাইকিং, প্রচার-প্রচারণাসহ বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে অধিকতর জোর দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অর্ধশতাধিক। কিন্তু একই সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন শতাধিক রোঘী। অর্থাৎ নতুন রোগী ও সুস্থ হওয়ার সংখ্যা প্রায় সমান। এছাড়া গত এক মাসে চট্টগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ১২০ জন। তার বিপরীতে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন সহ¯্রাধিক রোগী। পাশাপাশি সুখবর হচ্ছে- এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কোন মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চলতি মাসের শুরুতে যেভাবে ডায়রিয়া রোগী বাড়তে শুরু করেছিল, সেটি এখন ধীরে ধীরে সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। তবুও আমরা এপ্রিল ও মে মাসকে ডায়রিয়া প্রকোপের মাস হিসেবে ধরে সকল উপজেলা ও ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠনের নির্দেশনা দিয়েছি। সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। সচেতন থাকলে ডায়রিয়ার প্রকোপ এড়ানো সম্ভব।’ সিভিল সার্জন বলেন, হাত না ধুয়ে কোনো কিছু খেলে বা বাসি-পচা খাবার খেলেও ডায়রিয়া হতে পারে। অনেকেই ওয়াসার সরবরাহকৃত লাইনের পানি না ফুটিয়েই পান করেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার এটি অন্যতম কারণ। কারণ পানির মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু বেশি ছড়ায়। তাই পানি ফুটিয়ে পান করা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আবার কেউ কেউ রাস্তাঘাটে খোলা খাবার এবং শরবত খেয়েও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
# ২১.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #