চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবসে ছাত্র ইউনিয়নের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’ দিবসের ৯২তম বার্ষিকীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে চট্টগ্রামের ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বিপ্লবীদের স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি জানান।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নগরীর জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে মাস্টারদা সূর্য সেনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দাবি জানান তারা।
যুব বিদ্রোহের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর দাবি জানিয়ে এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে সংঘটিত হয় চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সব অহংকার চূর্ণ করে ৪ দিন স্বাধীন ছিল চট্টগ্রাম।২২ এপ্রিল চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবীদের ওপর সশস্ত্র ইংরেজ সৈন্যরা আক্রমণ করে। এতে ১২ জন বিপ্লবী শহীদ হন। ইতিহাসে এই সংগ্রাম ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়।তাদের সেই অসীম সাহস ও আত্মত্যাগ পরবর্তীতে পুরো ভারতবর্ষে স্বাধীনতার সংগ্রামকে বেগবান করে।
ব্রিটিশবিরোধী যুব বিদ্রোহের অনুপ্রেরণাই পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছিল। সাম্রাজ্যবাদী শোষণ হতে ভারতীয় উপমহাদেশকে মুক্ত করতে মাস্টার দা সূর্যসেন লড়াই করেছেন। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্মৃতিবিজরিত চট্টগ্রামের জালালাবাদ পাহাড়ে এখনো কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। যুব বিদ্রোহের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। সবস্তরের পাঠ্যপুস্তকে এই ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এছাড়া মাস্টারদা সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, তারকেশ্বর দস্তিদারসহ বিপ্লবের মহানায়কদের স্মরণে বন্দরনগরীর প্রধান সড়কগুলোর নামকরণের দাবি জানান তারা।
পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গোরচাঁদ ঠাকুর।