চলমান সংবাদ

স্বল্প খরচে বিদেশ পাঠানোর নামে মানবপাচার

দুই ভাইয়ের পরিচালনায় মানবপাচার চক্র প্রান্তিক এলাকার নিরীহ মানুষের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে স্বল্প খরচে বিদেশ পাঠানোর নাম করে দুই ভাই মিলে গড়ে তুলেছিলেন মানবপাচার চক্র। শুরুতে কিছু টাকা নিয়ে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে পাসপোর্ট বানাতে দিতো তারা। এরপর স্বল্প খরচে মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে ট্রলারে করে অজ্ঞাত দ্বীপে নামিয়ে দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। এই চক্রের দাবিকৃত বিপুল অংকের টাকা দিতে না পারলে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষরযুক্ত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের আবাদি জমি জমা বাড়ি-ঘর দখল করে নিতো চক্রটি। অবশেষে সেই পতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরা হলেন মো. ইসমাইল, শফিউল আলম, রিয়াজ খান, মো. হোসেন ও ইউনুস মাঝি। গত রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, চক্রের অন্যতম হোতা ইসমাইল ও শফিউল। তারা দুজন ভাই। দুজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি করে মানবপাচার আইনে মামলা রয়েছে। চক্রটি কক্সবাজারের পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার দরিদ্র লোকজনকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে পাসপোর্ট তৈরি করে দেয়। রিয়াজ খান রাজু পাসপোর্ট বানানোর কাজটি করতেন। পাসপোর্ট বানিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতেন যে- তাদের মাধ্যমে স্বল্প খরচে মালেশিয়া যাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, বিদেশ যেতে আগ্রহী নিরীহ লোকজন তাদের এই ফাঁদে পা দিয়ে মোট খরচের অর্ধেক টাকা রাজুর কাছে জমা করতো। বাকি টাকা মালেশিয়া পৌঁছে দেওয়ার শর্তে রাজু তাদের ট্রলারে তুলে দেওয়ার আগমুহুর্তে পাসপোর্ট রেখে দিতো। তাদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয় এর আগে। ট্রলারে তোলার আগে পাসপোর্টগুলো নিয়ে নেওয়া হয়। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তাদের মালয়েশিয়া না নিয়ে সেন্ট মার্টিন বা অন্য কোন দ্বীপে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চক্রের কাউকে খুঁজে না পেয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতেন ভুক্তভোগীরা।
# ১১.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #