চলমান সংবাদ

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে জিরো টলারেন্স

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শনিবার (৯ এপ্রিল) নগরের নিউমার্কেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাটহাজারী উপজেলার বালুছড়া, নতুন পাড়া, আমানবাজার ক্যান্টনম্যান্ট পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী। এসময় তিনি স্থানীয় জনসাধারণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী বলেছেন, পাথর নিক্ষেপ রোধে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামের প্রত্যকটি রেলওয়ে স্টেশন, স্টেশন সংলগ্ন মসজিদ, মাদরাসা, ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিট পুলিশং কার্যক্রম করেছি। পাথর নিক্ষেপ রোধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এসময় স্থানীয় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাথর নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে এমন কারও সন্ধান পেলে আমাদের জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবো। পাথর নিক্ষেপকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি ট্রেনে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি৷ এছাড়াও বিভিন্ন পয়েন্টে নেমে মানুষকে বুঝাচ্ছি পাথর নিক্ষেপের কুফল সম্পর্কে। শিক্ষকরা পাঠদানে এ বিষয়টি তুলে ধরছেন। যখন যেখানে তথ্য পাবো সেখানেই আমাদের অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, জুমার দিনেও আমরা সংশ্লিষ্ট মসজিদে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছি। তাদেরকে সচেতন করছি। পাথর নিয়ে কেউ হাঁটলেও তাকে আটক করছি। বাচ্চা হলে মা বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছি। এখন আর ছেড়ে দেওয়া হবে না। সাজা ভোগ করতে হবে। এসময় চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার, রেলওয়ে ওসি উপস্থিত ছিলেন। গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে বহিরাগতদের পাথর নিক্ষেপে ৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল রাতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী আহত হন। এদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি দেন শাখা ছাত্রলীগ। বিষয়টি আমলে নিয়ে শনিবার শাটলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পর পাথর নিক্ষেপে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সরেজমিন পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী। পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। শনিবার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওযা ট্রেনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। শাটল ট্রেনে বহিরাগত এবং টোকাইদের দেখলে নামিয়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রক্টরিয়াল বডি। সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। বহিরাগতদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। শাটল ট্রেনে প্রতিদিন বাইরে থেকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এতে শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছেন। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে । তারাও ব্যবস্থা নেবে। এদিকে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।’ রেললাইনের যেসব জায়গা থেকে পাথর নিক্ষেপ হয় সেসব জায়গায় পুলিশ টহল দেওয়ার পাশাপাশি সাদা পোশাকেও লোক থাকবে বলে জানান তিনি।
# ০৯.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #