বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (৩৯)

বিজন সাহা     

এর আগে বেশ কয়েকবার ধর্ম ও বিজ্ঞান নিয়ে লিখেছিলাম। বিভিন্ন কারণে আবার সেই বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাইছি। তখন বলেছিলাম যে অবিশ্বাস এটাও এক ধরণের বিশ্বাস। আস্তিক আর নাস্তিকের কথা যদি বলি দুটোই এই বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে – একদল ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে, আরেক দল করে না। এর সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই। কেননা বিজ্ঞানের ভিত্তি ভিন্ন জায়গায়।

যদি এক কথায় বলি, ধর্মের ভিত্তি যদি বিশ্বাস হয়, তবে বিজ্ঞানের ভিত্তি সন্দেহ। হ্যাঁ, সন্দেহ। সন্দেহ থেকে জন্ম নেয় প্রশ্ন। প্রশ্ন থেকে আসে উত্তর। কিন্তু কোনটা আগে, সন্দেহ না প্রশ্ন? এ দুটো বিজ্ঞানে পাশাপাশি চলে। প্রকৃতিতে কোন ঘটনা কেন ঘটছে সেটা জানতে চাইবার আগ্রহই প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের প্রচলিত উত্তর সত্য কিনা সেই প্রশ্ন হচ্ছে সন্দেহ। যদি ধার্মিক এর উত্তরে বলেন এসব ঘটছে ঈশ্বরের ইচ্ছায় বিজ্ঞানী সেখানে সন্দেহ করেন, তিনি এর বাইরেও কোন উত্তর আছে কি না সেটা জানার চেষ্টা করেন। তার মানে প্রশ্ন করাটা – সেটাও বিজ্ঞানীর একক এক্তিয়ারভুক্ত নয়। আসলে মানুষ মাত্রেই প্রশ্ন করে, প্রশ্ন করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। আর প্রশ্ন করে এ জন্যেই যে সে সন্দেহ করে। কারণ অন্ধভাবে জীবন কাটানো যায় না। একজন কৃষককে প্রশ্ন করতে হয় এবার সে কোন ফসল চাষ করবে। আবার সে সন্দেহ করে এই  জমিতে এই ফসল বোনা ঠিক হবে কি না। একই ভাবে প্রতিটি মানুষ জীবনের প্রতি পদক্ষেপে এই প্রশ্ন আর সন্দেহের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। এটা কারও জন্যই নতুন কিছু নয়। প্রশ্ন করাই জীবনের চালিকা শক্তি। যে মানুষ প্রশ্ন করে না সে মানুষ সামনে এগুতে পারে না। কারণ? কারণ, প্রতিটি মানুষের সামনেই অসংখ্য পথ খোলা থাকে আর প্রশ্ন করেই, সন্দেহ করেই সব পথ থেকে একটি পথ তাকে বেঁছে নিতে হয়। যদি প্রশ্ন করার অবকাশ না থাকে তবে বুঝতে হবে তার আর কোন বিকল্প নেই, আর যার কোন বিকল্প নেই সে সত্যিকার অর্থেই হতভাগা। সন্দেহ, প্রশ্ন এসবই যদি হয় বাঁচার মত বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় তাহলে বিজ্ঞানকে ধারণ করতে এত অনীহা কেন? আবার যদি বিজ্ঞানীর দিকে তাকাই তাহলে কী দেখি? বিজ্ঞানী প্রশ্ন করেন প্রকৃতির রহস্য জানার জন্য। তিনি সন্দেহ করেন প্রচলিত ব্যাখ্যায়। আর এই সন্দেহই তাঁকে নতুন ব্যাখ্যা খুঁজতে উদ্যমী করে তোলে। যদি নতুন ব্যাখ্যা না পান তিনি প্রচলিত ব্যাখ্যাটাই সাময়িক ভাবে হলেও মেনে নেন আর যদি নতুন ব্যাখ্যা পান তাঁকে সেই ব্যাখ্যায় আস্থা রাখতে হয়, সেই ব্যাখ্যাটা বিশ্বাস করতে হয়। তবে তিনি এটাও বোঝেন যে একদিন তাঁর ব্যাখ্যাটা ভুল প্রমাণিত হতে পারে। আসলে বিজ্ঞান এক অন্তহীন চলা – একটু একটু করে পরম সত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তার মানে আমরা দেখছি সন্দেহ, বিশ্বাস, প্রশ্ন এসব কোন কিছুই কোন মানুষের জন্য, তা সে ধার্মিক হোক আর বিজ্ঞানী হোক অপরিচিত, অগ্রহণযোগ্য কিছু নয়। তবে এটাও ঠিক, বিজ্ঞানী উত্তর খোঁজেন অনিশ্চয়তার মাঝে, ভবিষ্যতে আর ধার্মিক উত্তর খোঁজেন বহু যুগ আগে রচিত বা নাজিল হওয়া বইয়ে, অতীতে।

সেই আদিম কালে যখন মানুষ সবে মাত্র পৃথিবীতে চলতে শুরু করেছিল তখন থেকেই তার মাথায় সন্দেহ, প্রশ্ন, বিশ্বাস এসব স্থান পেয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিদ্যুতের ঝলকানি – এসব দেখে সে জানতে চেয়েছে কেন এমন হয়? তখন এসবই ছিল অলৌকিক। তবে একটা জিনিস সে ঠিকই বুঝেছিল তা হল এসব ঘটনা ঘটাতে অসীম শক্তির প্রয়োজন আর যারা এসব ঘটায় তারা অসীম শক্তির অধিকারী। এভাবেই জন্ম নেয় অতিমানবের ধারণা, দেবতার ধারণা। কিন্তু সেই সময়ও এমন অনেকেই ছিল যারা দেবতার ধারণাকে খারিজ করে দেয়, যারা এসব ঘটনার পেছনে অন্য ব্যাখ্যা খুঁজতে থাকে।

আমরা নিজেরাই তো দেখি কেউ কেউ মানবিক বিষয়ে পারদর্শী, কেউবা লজিক বা বিজ্ঞান বিষয়ে। কেউ সব কিছুতে বিশ্বাস করতে চায়, কেউবা সব কিছুতেই প্রশ্ন করে। এ থেকে আমরা ধারণা করতে পারি যে সব সময়ই বিভিন্ন ধরণের মানুষ ছিল, এসব মানুষের চিন্তা ভাবনার ধরণ ছিল ভিন্ন। সেটা শুধু সেই অতীতে কেন এখনও দেখা যায়, এমনকি উচ্চ শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও। অনেক যুক্তিবাদী মানুষ কিছু কিছু ব্যাপার অন্ধের মত বিশ্বাস করেন আর অনেকেই, যারা বিশ্বাস করতেই অভ্যস্ত কোন কোন ব্যাপারে ঠিকই প্রশ্ন তোলেন। তাই ধর্ম ও বিজ্ঞান এদের মধ্যে শুধু প্রচুর বিরোধই নেই, অনেক ক্ষেত্রে মিলও আছে। আর প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আছে এই বিশ্বাস, সন্দেহ আর প্রশ্নের ককটেইল। প্রশ্ন হল সেই মিশ্রণের অনুপাত কোন ব্যক্তির মধ্যে এবং কোন সমাজের মধ্যে কিরূপ? যখনই এই উপাদানগুলোর কোন একটা ক্রিটিক্যাল মাত্রা পেরিয়ে যায় মানুষ তখন মৌলবাদী হয়।  কারণ অন্ধের মত কিছু করা, তা সেটা বিশ্বাস হোক, সন্দেহ হোক আর প্রশ্ন করাই হোক – মানুষকে মৌলবাদী করে তোলে। সঠিক উত্তরে পৌঁছুনো যায় শুধু এই তিনের সঠিক কম্বিনেশনে। আর এসব কারণেই কোন সমাজকে কখনই বিজ্ঞানমনস্কতা ও ধর্মীয় মনোভাব থেকে মুক্ত করা যাবে না। প্রথাগত ধর্ম বা প্রথাগত বিজ্ঞান বা সঠিক ভাবে বললে বাহ্যিক ভাবে ধর্ম বা বিজ্ঞানের চর্চা হয়তো আইন করে বন্ধ করা যাবে, কিন্তু মানুষ তাদের চিন্তায়, তাদের কাজে কর্মে ধর্মীয় বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির চর্চা করেই যাবে। যে কোন ধরণের জিহাদ ঘোষণা অর্থহীন। তা যে পক্ষই যে যুক্তিতেই করুক না কেন সমাজকে অসহিষ্ণু করে তোলে।  তাই খুঁজতে হবে সেই ফর্মুলা যাতে বিভিন্ন মতের, বিভিন্ন পথের মানুষ একই সমাজে স্বচ্ছন্দে বাস করতে পারে, এক সাথে দেশ ও সমাজের উন্নতিতে নিজেদের অবদান রাখতে পারে।

আর এ কারণেই রাষ্ট্রে ধর্ম, বিজ্ঞান এসব থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা আধুনিক রাষ্ট্রের জন্য অপরিসীম। ধর্মের? রাষ্ট্রের প্রয়োজন না থাকলেও মানুষ তার স্বাভাবিক মানসিকতা থেকেই ধর্মকে ত্যাগ করতে পারবে না। সে যদি প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস না করতে পারে, বিশ্বাস করবে অন্য কোন কিছুতে। সেটা হতে পারে কোন আদর্শ, কোন রাজনীতি বা অন্য কিছু। অর্থাৎ কোন কিছুতে বিশ্বাস করার, কোন কিছুর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার তাগিদ মানুষের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই পড়ে। রাষ্ট্র যেটা করতে পারে সেটা হল এই দুইয়ের বিভেদ যেন হানাহানির পর্যায়ে না যায় সেটা নিশ্চিত করা।

রাষ্ট্র যদি স্কুল কলেজে বিজ্ঞান পড়াতে বলে তাহলে রাষ্ট্রকেই দায়িত্ব নিতে হবে যারা বিজ্ঞান শেখান তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার। মনে রাখতে হবে বিজ্ঞান আর ধর্ম অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক। বিভিন্ন প্রশ্নে এই দুই বিষয়ের মতবাদ হবে পরস্পর বিরোধী। এখানে কে ঠিক কে ভুল সে প্রশ্ন না তুলে শুধুমাত্র সাব্জেক্ট হিসেবেই তাদের দেখতে হবে আর সেভাবেই পড়তে হবে। আর এ কথাটা সরকারকে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিতে হবে। মনে রাখা দরকার আমাদের দেশে বহু যুগ ধরেই ধর্ম ও বিজ্ঞান পাশাপাশি পড়া হচ্ছে। এতদিন এতে কোন সমস্যা হয়নি। এখন কেন হল? সরকারকে নিজেকেই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। জানতে হবে বিগত দশ বছরের বেশি সময়ে তাদের শাসনে এমন কি ভুল ছিল যে এক কালের নিষ্পাপ বিষয়গুলোও সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সরকার যদি ব্যর্থ হয় তাহলে তাহলে স্কুল বন্ধ করে ঢালাও মাদ্রাসা শিক্ষা চালু করাই শ্রেয়, অন্তত দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য অথবা বিজ্ঞানকে অপশনাল সাবজেক্ট করা।

টেকনোলজি একদিকে যেমন আশির্বাদ, অন্যদিকে তেমনি অভিশাপ। দোষ অবশ্য টেকনোলজির নয়, যারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের। কোন কিছুর পূর্ণ চিত্রের জন্য সেটা সব দিক থেকেই দেখা দরকার, তবে টেকনোলজি ব্যবহার করে আজকাল এমনকি আংশিক চিত্রকে পূর্ণ চিত্র হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। দেশের উন্নয়নের গল্প যেমন সত্য তেমনি সত্য এই উন্নয়নের নীচে পড়ে পিষে মরা অনেক সাধারণ মানুষের জীবনের করুণ কাহিনী। সমস্যা হল আমরা নিজ নিজ প্রয়োজনে এরকম হাজারো ন্যারেটিভের একটা নিয়ে পথ চলি। আংশিক সত্যকে চরম সত্য হিসেবে গ্রহণ করি। আর এটাই যে একদিন বিপর্যয় ডেকে আনবে না সেটা কে বলবে? তাই আমাদের দরকার সন্দেহ প্রবন হওয়া, সবকিছু বার বার যাচাই-বাছাই করে দেখা। আর এ জন্যেই দরকার এমন শিক্ষা ব্যবস্থা যা জনগণকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলে।

মনে পড়ছে চট্টগ্রামে প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলামের ওখানে সেমিনারের কথা। সেমিনার শেষে আমরা যখন খেতে বসেছি এক ছাত্রী প্রফেসর ইসলামকে বলল “স্যার, আমাদের গেস্ট যা বললেন, সবই তো কোরআনে লেখা আছে, তাই না?” প্রফেসর ইসলাম আমার বিপরীতে বসে ছিলেন। আমি দেখতে পেলাম তাঁর অসহায় দৃষ্টি। উনি প্লেটের দিকে তাকিয়ে বললেন “হ্যাঁ!” আসলে তাঁর মত একজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানী যেখানে এসব প্রশ্নে অসহায় বোধ করেন, হৃদয় মন্ডলের তো চুপ করে থাকার কথা। হৃদয় মন্ডলকে গ্রেফতার করে সরকার আসলে মুক্তচিন্তার হৃদয়কেই কারাগারের অন্ধ কূপে তিলে তিলে হত্যা করছে। এমন কি সরকার যদি হৃদয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেও তাকে গ্রেফতার করে তাহলে সেটাও সরকারের ব্যর্থতা। কারণ নিরপরাধ মানুষকে বন্দী করে নয় অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব। স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে যে কথোপকথন সেটা কি শুধু ধর্মীয় কারণে? আসলে ভিন্ন মত প্রকাশের অধিকার তো অনেক আগেই রাজনৈতিক ভাবে খর্ব করা হয়েছে। বিরোধী দল বলতে কিছু নেই। যদি রাজনৈতিক ভাবেই বিরোধী দল বা ভিন্ন মতকে দমন করে রাখা হয় তাহলে ৯০% মুসলমানের দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেন ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন মত তা সে বিজ্ঞান হোক, সাহিত্য, সংস্কৃতি, পোশাক পরিচ্ছদ যাই হোক, যা ইসলামের সাথে যায় না – সেটাকে সহ্য করবে? এদেশে আমরা সহিষ্ণুতা কীভাবে আশা করি? তাই আমাদের শুরু করতে হবে রাজনৈতিক সংস্কার দিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে ধর্ম, সমাজ এসব দিকে এগুতে হবে।
বাংলাদেশে ইসলামের আগমন হাজার বছর আগে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত এই দেশের আলো বাতাসে এখানে জন্ম নিয়েছে ইসলামের নিজস্ব ধারা। বর্তমানের উগ্র ইসলাম আমাদের সংস্কৃতি নয়। সরকার যদি এটা বোঝে আর উগ্র ইসলামের হাত থেকে প্রথাগত ইসলামকে রক্ষা করে সেটাই হবে সত্যিকার অর্থে ধর্ম পালন। তাতে একদিকে যেমন ধর্মও বাঁচবে, অন্য দিকে তেমনি বাঁচবে বিজ্ঞান। বাঁচবে বাঙালি, বাঁচবে বাঙালিয়ানা।

ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে হৃদয় মন্ডলকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভিন্ন লেখা আসছে। একজন আক্ষেপ করে বলেছেন হৃদয় মন্ডল একুশ বছর ঐ স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন, তাঁর হাত দিয়ে বেরিয়েছে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী যাদের অনেকেই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত, তবুও তাদের তরফ থেকে কোন প্রতিবাদ, কোন মানব বন্ধন নেই। এটা শিক্ষক হিসেবে শুধু ওনার নয়, বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শুধু অর্থ উপার্জনের মেশিন তৈরি করছে, মানুষ তৈরি করছে না। হৃদয় মন্ডলের স্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অনেক দিন ধরেই তাঁর নাম নিয়ে টিটকিরি করত তাঁর ছাত্ররা। সমাজের অধঃপতন কোন পর্যায়ে গেলে এসব ঘটে? এর জন্যে কে দায়ী? ভোটনীতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলেছেন এই যদি শিক্ষকদের নিরাপত্তার মান হয় তবে তাঁকে ভাবতে হবে এই পেশায় থাকবেন কি না? এরকমও শোনা গেছে স্কুলের কিছু শিক্ষক এর পেছনে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যে রাজনীতি বিরাজ করছে তাতে তাঁর প্রভাব যে স্কুলেও পড়বে এতে অবাক হবার কিছু নেই। অনেকে হৃদয় মন্ডলের মুক্তি চেয়ে পোস্টার দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস আমরা যদি হৃদয় মণ্ডলকে, বিজ্ঞান চর্চাকে মুক্ত করতে চাই সব কিছুর আগে আমাদের এই অপরাজনীতির হাত থেকে, এই দুঃশাসনের হাত থেকে দেশ ও সমাজের মুক্তি চেয়ে সোচ্চার হতে হবে।

 

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, মস্কো, রাশিয়া