চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম সিটি কলেজের সামনের দীর্ঘদিনের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সামনে থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ২৯টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্কুল-কলেজের সামনে কোনো দোকান থাকা যাবে না। সরকারি আদেশ অনুযায়ী দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর আগে তাদের দোকানগুলো উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। এরপরও তারা দোকানগুলো সরাননি। তাই অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপা দত্ত বলেন, ১৯৭৪ সালে কলেজ যখন বেসরকারি ছিল তখন তারা একটি চুক্তি করেন কলেজের সঙ্গে। কিন্তু চুক্তির প্রায় সকল শর্তই তারা ভঙ্গ করে। তিনি বলেন, তারা ভাড়া দেয় ডিসি অফিসে এবং ভাড়াটা পুরোনা ভাড়া ২০০ টাকা, ৭০ টাকা, ৯০ টাকা করে। আমি কলেজে যোগদান করার পর দেখলাম প্রতি বছরই দোকান নিয়ে অনেক টাকার অডিট আপত্তি আসে। তখন অডিটে বলা হয় কম ভাড়ায় দোকানগুলো ভাড়া দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করছে। ভাড়া তো কলেজ পায় না। গত ২৪ নভেম্বর সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক একটি কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয় স্কুল-কলেজের সামনে কোনো দোকান রাখা যাবে না। সিদ্ধান্তের পর গত ২৯ নভেম্বর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন দোকানপাট থাকলে উচ্ছেদ করতে। আমরা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানাই। জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে। #০৭.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #

Pritom

হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জিল্লুর ভান্ডারী নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. কামালকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ভোরে খাগড়াছড়ির সদর থানার কলেজপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জিল্লুর ভান্ডারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় মো. কামাল গ্রেপ্তার হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে সদর্পে সিএনজি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন এলাকাতেও। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত অভিযুক্ত দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তদের একজন কামাল। রায় ঘোষণার পর কামাল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রাঙামাটি সাজেকের একটি হোটেলে ছদ্মবেশে ওয়েটারের কাজ নেন। সেখান থেকে খাগড়াছড়িতে কাজের খোঁজে গিয়ে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, জিল্লুর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. কামাল পেশায় জিপ গাড়িচালক। সে জিল্লুর ভান্ডারী হত্যাকান্ডের ঘটনায় আগে একবার গ্রেপ্তার হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্ত হয়। জামিন নিয়ে সে এলাকায় এসে গাড়ি চালানো শুরু করে। মামলার রায় ঘোষণার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রাঙামাটির সাজেক ভ্যালিতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ নেয়। সেখান থেকে সে অন্য একটি কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়িতে এসে অবস্থান করার সময় গ্রেপ্তার হয়। কামালের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, কোতোয়ালী ও খাগড়াছড়ি সদর থানায় আটটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার কামাল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোদারপাড়ার আমিনুল হকের ছেলে। # ০৭.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #