চলমান সংবাদ

রপ্তানি পণ্যের চালানে গরমিল, আটকে গেল ডিপোতেই

তৈরি পোশাকের একটি চালানে ঘোষণার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য পাওয়ায় তা আটকে দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে পরীক্ষার পর ওই চালানে গরমিল ধরা পড়ে বলে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ জানান। তিনি বলেন, ওই চালানে ৩৮ হাজার ৩১১ পিস পণ্যের ঘোষণা থাকলেও রো্ববার পরীক্ষার পর ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস পণ্যের হিসাব পাওয়া যায়। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব পণ্য পাঠাচ্ছিল ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউ’র আরএম সেন্টারের ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্যগুলো রপ্তানির জন্য এছাক ব্রাদার্স নামে ডিপোতে নিয়ে কন্টেইনার ভর্তি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল নগরীর আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল। আহসান বলেন, ঢাকার প্রতিষ্ঠানটির রেডিমেইড গার্মেন্টস পণ্যের চালানটি সন্দেহ হওয়ায় বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে এটি আটকে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে ঘোষণার চেয়ে বেশি পরিমাণ পণ্য পাওয়া যায় সেখানে। “চালানের ঘোষণায় ৩৮ হাজার ৩১১ পিস পণ্য ছিল। এসবের দাম ছিল ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০টাকা। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরীক্ষায় সেখানে ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস পণ্য পাওয়া যায়, যার মূল্য হওয়ার কথা ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১টাকা। চালানটিতে ৪৫ হাজার ৪০ পিস বেশি পণ্য পাওয়া যায়।” এ চালানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছেন বলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্য। কাস্টমস কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ বলেন, ঢাকার প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি পণ্য চালান রপ্তানি করেছে। এসব চালানে ঘোষণার বাইরে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। # ২৩.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #