চলমান সংবাদ

নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান ধর্মঘট

-কাজ বন্ধের হুশিয়ারি ঠিকাদার সমিতির

নির্মাণ সামগ্রীর দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে অবস্থান ধর্মঘট করেছে এলজিইডি ঠিকাদার সমিতি। এসময় তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশও করে। রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকায় এলজিইডি ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে নির্মাণ সামগ্রীর দামের লাগাম টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ এলজিইডির চলমান কাজের রেট রিসিডিউল করার দাবি জানান। নির্মাণ সামগ্রীর দামের সাথে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়ের সমন্বয় না হলে চট্টগ্রামে সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারিও দেন এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির নেতারা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সময়টা পুরোদমে কাজ করার মৌসুম হলেও বর্তমানে প্রকল্পের কাজ ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দিন দিন নির্মাণসামগ্রীর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে কাজ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণসামগ্রীর মূল্য ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে সেটি প্রকল্প ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করা হয়। সেটি না হলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়ার কথা জানান তারা। এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এলজিইডি ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের ঠিকাদাররাও যোগ দেন। সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, রডের দাম সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি। রডের দামের পাশাপাশি অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির ফলে আমাদের প্রকল্প ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গেছে। বাজেটে কুলোচ্ছে না বলে থমকে গেছে অধিকাংশ নির্মাণ কাজও। প্রকল্পে কাজে ধীরগতি তৈরি হওয়ায় আমরা যথাসময়ে কাজ শেষ করতে পারব না। আমরা চাই নির্মাণসামগ্রীর দাম কমুক অথবা বাড়তি ব্যয়টা প্রকল্প ব্যয়ের সাথে সমন্বয় করা হোক। সমাবেশে চট্টগ্রাম এলজিইডি ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইট, বালি, সিমেন্ট ও রডের দাম বেড়েছে। একই সময় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে ইলেকট্রিক, হার্ডওয়্যার, সেনেটারিসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে নির্মাণ শ্রমিকের দৈনিক মজুরিও। আগে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫০০ টাকা। বর্তমানে ৮০০ টাকা। এছাড়া টনপ্রতি ৫০ হাজার টাকার রড এখন ৮৮ হাজার টাকা। আমদানি করা পাথরের টন ছিল ৩৪ হাজার টাকা। এখন ৫৫ হাজার টাকা। এভাবে সব পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু এলজিইডির রেট রিসিডিউল করা হয়নি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার মহিউদ্দিন সুফল, আলী হোসেন, মহসিন হায়দার নজরুল ইসলাম, সালাউদ্দিন লিটন, শওকত হোসেন, মো. ইলিয়াছ চৌধুরি, আবদুল্লাহ টিটু, জামশেদ চৌধুরি, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। পরে ঠিকাদারা এলজিইডি ভবন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে যা নগরীর মুরাদপুর হয়ে আবার এলজিইডি ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
# ১৩.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #