চলমান সংবাদ

সিপিবি’র বিক্ষোভ সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহআলম

– শুধু ভোগ্যপণ্যের বাজার নয়, পার্লামেন্টও সিন্ডিকেটের দখলে

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহআলম বলেন, গণবিরোধী সরকার আর অবৈধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ভোক্তা ও জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। চাল-ডাল-তেল-চিনি, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার সিন্ডিকেটের দখলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিন্ডিকেটের দখলে। পার্লামেন্টও সিন্ডিকেটের দখলে চলে গিয়েছে। সিন্ডিকেট ও লুটপাটের ধাক্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের নাগালের বাইরে। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আগামী ২৮ মার্চ অর্ধদিবস হরতালে বিএনপি’র সমর্থন দেয়া প্রসঙ্গ টেনে শাহআলম বলেন, আমরা বিএনপির সমর্থন চাইনি। বাম জোটের হরতালে কেন আপনারা সমর্থন দিচ্ছেন। তিনি বলেন, বিএনপি আমাদের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করতে চাইছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে যখন জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে তখন জনগণের দুর্ভোগকে পুঁজি করে বিএনপি রাজনৈতিক খেলায় মেতে উঠেছে। বাম জোটের হরতালে সমর্থন দিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু, টিসিবি’র বিক্রি বাড়ানো ও কঠোর হাতে সিন্ডিকেট দমনের দাবিতে শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে নগরীর সিনেমা প্যালেসের মোড়ে সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, গণবিরোধী সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর, মজুতদারদের ‘পাহারাদার’ হিসেবে ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে। সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। একদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা হচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদক কৃষক প্রতারিত হচ্ছেন। অবৈধ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা’র সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি কানাই লাল দাশ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম চৌধুরী, মছিউদ-দৌলা, কোতোয়ালি থানার সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সীতাকুন্ড উপজেলা সভাপতি জহির উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ। সিপিবি সভাপতি শাহআলম বলেন, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারছেনা। গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। আমরা এর বিকল্প চাই। চাল-ডাল-তেলের যে উর্দ্ধগতি দরিদ্ররা অনাহারে মরছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যে সিন্ডিকেট- সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ সব লুটেরা দলেরা সদস্যরা আছে। এইখানে তারা আজ সবাই একজোট। আমরা এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে চাই। লাল ঝান্ডার সরকার ক্ষমতায় গিয়ে তাদের এই সিন্ডিকেটে তালা মেরে দিবে। আমরা ক্ষমতায় গেলে গ্রামে-শহরে রেশন ব্যবস্থা চালু করবো। রেশন কার্ড চালু করলে মানুষ স্বস্তিতে থাকবে। কেউ ভাতে মরবেনা। যখন সারাদেশে এই রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে তখন এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গা যাবে।
# ১২.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #