চলমান সংবাদ

শোষণ-বৈষম্যহীন  সমাজ গড়ার  অগ্রসৈনিক ছিলেন কমরেড উজ্জ্বল শিকদার

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক,  প্রগতিশীল আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী কমরেড উজ্জ্বল শিকদারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ ১১ মার্চ ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৪.০০ টায় বঙ্গবন্ধু হলে(চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব) নাগরিক কমিটির উদ্যোগে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় ।
কমরেড উজ্জ্বল শিকদার শোক সভা নাগরিক কমিটির আহবায়ক প্রৌকশলী দেলোয়ার মজুমদার’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব মিন্টু চৌধুরী’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোঃ শাহ আলম, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড দিবালোক সিংহ, সাবেক ছাত্র নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফিজ আদনান খান রিয়াদ, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর,  চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি সনৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, উজ্জ্বল শিকদারে বাবা সন্তোষ শিকদার, সাবেক যুব নেতা শিহাব চৌধুরী বিপ্লব, সাবেক ছাত্র নেতা হাসান ফেরদৌস, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটের সাবেক সহ সভাপতি নজরুর কবির, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গোরচাঁদ ঠাকুর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ ভট্টাচার্য প্রমুখ। সভার শুরুতে শোক সংগীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন ও জীবনী পাঠ করেন যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির।
সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, শোষণ-বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার সংগ্রামে অগ্রসৈনিক ছিলেন কমরেড উজ্জ্বল শিকদার। চট্টগ্রামের তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মাটির মানুষ। প্রগতিশীল আন্দোলনের একনিষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে তিনি চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্রই। কমরেড উজ্জ্বলের সাথে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ছিল নিবিড় সম্পর্ক। সারা জীবন সাম্যের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কাজ করেছেন। চট্টগ্রামের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে আছে তার নাম। বর্তমান প্রগতিশীল আন্দোলনে এই রকম সর্বজন গ্রহণযোগ্য নেতার খুবই অভাব।
বক্তারা বলেন, আমৃত্যু বিপ্লবী কমরেড উজ্জ্বল শিকদার আমাদের  লড়াই-সংগ্রামে বেঁচে থাকবেন। যতদিন তিনি বেঁচে ছিলেন এদেশের মানুষের মুক্তি ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। বর্তমান এই নষ্ট সমাজের প্রতিনিধিত্ব যারা করে, তাদের বিরুদ্ধে গলার রগ ফুলিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। আমাদের এই নষ্ট সমাজের বিরুদ্ধে যতদিন আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই মিছিল থাকবে উজ্জ্বল শিকদারকে আমরা আমাদের মিছিলে খুঁজে নিবো।
কমরেড উজ্জ্বল শিকদার বাঁশখালীর বৈলছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি লড়াই সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হোন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিণ জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর’র চট্টগ্রামের পদ্মকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি  যুব আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নে যুক্ত হোন। সর্বশেষ তিনি যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে চট্টগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
পাশাপাশি তিনি কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। সর্বশেষ  কমরেড উজ্জ্বল শিকদার কমিউনিস্ট পার্টি কোতোয়ালী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।