চলমান সংবাদ

জমে উঠেছে চট্টগ্রামের একুশে বইমেলা

আজ ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে আলোচনা জমে উঠেছে চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলা। চট্টগ্রামের প্রকাশক, সংস্কৃতিসেবী, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেনী-পেশার বইপ্রেমীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি বইমেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের অবরুদ্ধতার অবসান ঘটানো এই বইমেলা যেন সকলের মিলনমেলায় পরিনত হচ্ছে। নগরীর এম.এ ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্ত্বরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগীতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলার ১৫তম দিনে রোববার (৬ মার্চ) পেশাজীবী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক অধাপক ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে পেশাজীবী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. জসিমউদ্দীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মোহাম্মদ হাশেম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপিকা ড. সেলিনা আখতার, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ হারুন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি অঞ্চল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, এড. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। প্রধান অতিথি বলেন, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ বাংলাদেশকেই দারিদ্র্য-জয় এবং উন্নয়নের আদর্শ মডেল হিসেবে তুলে ধরছেন। আজকের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও উত্তরণের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। দেশের ভিতরে-বাইরে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছে। সে প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কাজেই আমাদের সকলকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশবিরোধী সকল অপতৎপরতা রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রধান আলোচক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমার রাজনীতির মুক্তি হয়েছে। আমার অর্থনীতির মুক্তি প্রয়োজন। এইটা না হলে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়, যদি বাংলার মানুষ সুখে বাস না করে, বাংলার মানুষ যদি অত্যাচার, অবিচারের হাত থেকে বাঁচতে না পারে তো এই স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে। তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিকসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে ডা. এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল, তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ৭২এ অসাম্প্রদায়িক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধানের মূল কথা ছিল প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগন। এই মালিকানা সঠিক ভাবে অর্জন করার জন্য আমাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বইমেলায় আগামীকালের অনুষ্ঠানসূচি হলো ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে আলোচনা সভা।
# ২৫.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #