চলমান সংবাদ

শহীদ দিবসে ছাত্র ইউনিয়নের বর্ণমালা মিছিল

মহান শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বাংলা, চাকমা, মারমা, আরবি বিভিন্ন ভাষার বর্ণমালা নিয়ে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় অস্থায়ী শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সংগঠন জেলা অফিসে শহীদ স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিটির সভাপতি এ্যানি সেনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহঃ সাধারণ সম্পাদক খালিদ মিরাজ, কোষাধ্যক্ষ ডেনি বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাদিয়া নুর প্রাপ্তি, নিশান রায় প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালে পাকিস্তানি শাসনগোষ্ঠী চেয়েছিল উর্দুকে আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে। বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রুখে দিয়েছিল শাসক গোষ্ঠীর সেই অপচেষ্টাকে। ভাষা আন্দোলনকারীরাই সময়ের প্রয়োজনে জন্ম দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়নের। তাই ৫২ ও ছাত্র ইউনিয়ন অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ বপন করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ৬২র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬র ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ। তাই একুশ আমাদের অঘোষিত স্বাধীনতা দিবস। বক্তারা আরো বলেন, এই ভূখণ্ড যেমন বাঙালিদের, তেমনি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষেরও। কিন্তু বর্তমানে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পরিচয় মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনামলে যেমন করে বাঙালিদের ওপর সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে, এখনো ঠিক তেমনি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপর আগ্রাসন চালানো হচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন, বায়ান্নতে যে চেতনা ধারণ করে পূর্বসূরিরা ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, সেই চেতনা থেকে বহু দূরে সরে এসেছে বাংলাদেশ। সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পাঁচটি মাতৃভাষা শিক্ষার সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু মাতৃভাষা শিক্ষা এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা এক বিষয় না। তিনি বলেন, সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অফিস-আদালত ও উচ্চশিক্ষায় বাংলা চালু করতে হবে। ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ সকল ভাষায় শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত, সর্বস্তরে মাতৃভাষা চালু ও বর্ণমালা সংরক্ষণের দাবি জানান। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের ওপর চলমান সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দেওয়ার প্রত্যয় জানান।

# ২১/০২/২০২২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #