চলমান সংবাদ

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড উজ্জ্বল শিকদারের শোকসভায় বক্তরা

-নষ্ট স্রোতের বিপরীতে সম্ভাবনাময় সংগঠক ছিল উজ্জ্বল শিকদার

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক সভাপতি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক,  প্রগতিশীল আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী কমরেড উজ্জ্বল শিকদার গত ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ রবিবার সকাল ১১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। কমরেড উজ্জ্বল শিকদারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ শুক্রবার বিকাল ৪.০০ টায় ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে(চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব) বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের উদ্যোগে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় । বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক জাবেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাফিজ আদনান খান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, প্রেসিডিয়াম সদস্য শিশির চক্রবর্তী, দক্ষিণ জেলার সভাপতি সনৎ বড়ুয়া, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সদস্য রেখা চৌধুরী, ডি.এস.কে’র প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক আরাফাতুল জান্নাত, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোজি সেন, উজ্জ্বল শিকদারের ছোট বোন ঝুমকি শিকদার, সাবেক ছাত্র নেতা প্রকাশ ঘোষ, আরিফ বাচ্চু, শৈবাল আদিত্য, মিন্টু চৌধুরী, সেলিনা সুমি, প্রিতম দাশ, উজ্জ্বল শুক্লা দাশ, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি সুব্রত ধর মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুল সামির, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গোঁরচাদ ঠাকুর অপু, হোটেল শ্রমিক নেতা জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সদা হাস্যজ্বল কমরেড উজ্জ্বল  শিকদার আমৃত্যু  অসম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা এবং আদর্শ বিস্তারের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন।শোষণ-বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ার সংগ্রামে অগ্রসৈনিক ছিলেন। চট্টগ্রামের তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মাটির মানুষ। প্রগতিশীল আন্দোলনের একনিষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে তিনি চষে বেড়িয়েছেন সর্বত্রই। কমরেড উজ্জ্বলের সাথে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ছিল নিবিড় সম্পর্ক। সারা জীবন সাম্যের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কাজ করেছেন। বর্তমান প্রগতিশীল আন্দোলনে এই রকম সর্বজন গ্রহণযোগ্য নেতার খুবই অভাব। নষ্ট স্রোতের বিপরীতে সম্ভাবনাময় সংগঠক ছিল উজ্জ্বল শিকদার। উজ্জ্বলের মৃত্যুতে প্রগতিশীল আন্দোলনের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।

বক্তারা আরো বলেন,  আমৃত্যু বিপ্লবী কমরেড উজ্জ্বল শিকদার আমাদের  লড়াই-সংগ্রামে বেঁচে থাকবেন। চট্টগ্রামের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে আছে তার নাম। যতদিন তিনি বেঁচে ছিলেন এদেশের মানুষের মুক্তি ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। বর্তমান এই নষ্ট সমাজের প্রতিনিধিত্ব যারা করে, তাদের বিরুদ্ধে গলার রগ ফুলিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। আমাদের এই নষ্ট সমাজের বিরুদ্ধে যতদিন আন্দোলন-সংগ্রাম, লড়াই মিছিল থাকবে উজ্জ্বল শিকদারকে আমরা আমাদের মিছিলে খুঁজে নিবো।

কমরেড উজ্জ্বল শিকদার বাঁশখালীর বৈলছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি লড়াই সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হোন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিণ জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর’র চট্টগ্রামের পদ্মকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র রাজনীতি শেষ করে তিনি  যুব আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নে যুক্ত হোন। সর্বশেষ তিনি যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।তিনি গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে চট্টগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
পাশাপাশি তিনি কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের মুক্তির সংগ্রাম এবং সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। সর্বশেষ  কমরেড উজ্জ্বল শিকদার কমিউনিস্ট পার্টি কোতোয়ালী থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

# ১৮/০২/২০২২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #