চলমান সংবাদ

দাম কমাও, জান বাঁচাও দাবীতে সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলার বিক্ষোভ সমাবেশ

ভাত-কাপড়, রুটি–রুজি, ভোট-গণতন্ত্রের সংগ্রামকে জোরদার করতে ‘দাম কমাও, জান বাঁচাও,সিন্ডিকেট ভাঙ্গো,লুটপাট রুখো’ দাবীতে আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪ টায় পটিয়া থানা মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার  সভাপতি অধ্যাপক কানাই লাল দাশের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন – সিপিবি পটিয়া উপজেলার সভাপতি অলক দাশ, আনোয়ার উপজেলার সম্পাদক আব্দুস সালাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য আবুল কালাম চাষী, শিক্ষক নেতা মাষ্টার শ্যামল দে, শিক্ষক নেতা এ.হোসেন, সিপিবি চন্দনাইশ উপজেলা সম্পাদক শিমুল ধর,ছাত্রনেতা ভবতোষ ভট্টাচার্য্য,কৃষক নেতা মিলন বড়ুয়া। উপস্থিত ছিলেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি, কমরেড আব্দুল নবী, যুব ইউনিয়ন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি সনত বড়ুয়া,সিপিবি বোয়ালখালি উপজেলার সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনার প্রকোপে বর্তমানে দেশের মানুষের জীবন বিপন্ন অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ বেকার ও তিন কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। এক চরম অসহ্য যন্ত্রণার মধ্যে মানুষ দিন অতিক্রম করছে।নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত এক বছরে বেড়েছে ৫০ ভাগ থেকে ৮০ ভাগ বেড়েছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণা লাঘব করা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্ত তা না করে সরকার উল্টো গ্যাস, জ্বালানি তেলসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম দ্বিগুণ করার পাঁয়তারা করছে।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের মধ্যে বর্তমানে সর্বত্রই অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে।মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবন আজ সংকটে রয়েছে। আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ায় মানুষ নৈমিত্তিক জীবন যাপন করতে হিমশিম খাচ্ছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের দর্শন থেকে পুরোপুরি সরে গিয়ে বর্তমান সরকার এখন মুক্তবাজার দর্শনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনা করছে যা এদেশে মোটেই কাম্য নয়। সর্বত্রই বাজার দখল করে রেখেছে অবৈধ সিণ্ডিকেট। সরকার আর সিন্ডিকেট একসাথে যুক্ত হয়ে একদিকে উৎপাদক তথা কৃষক শ্রেণি প্রতারিত হচ্ছে, অন্যদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেটকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই অবৈধ সিন্ডিকেট শুধু বাজার নয়, গণবিরোধী সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করছে।

এছাড়া, বর্তমান সরকার এক শতাংশ মানুষের জন্য লুটপাট চালানোর সুযোগ আরও সহজ ও সুন্দর করে দিয়ে অকল্পনীয় পরিমাণ সম্পদ আত্মসাৎ করার ও তার বিশাল অংশ বিদেশে পাচার করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যে সরকার দমন–পীড়ন ও ‘ভয়ের রাজত্ব’ তৈরি করে রেখেছে। এখানে মূল ভূমিকায় রাষ্ট্রযন্ত্র ও আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশে দুঃশাসন ও অকল্পনীয় শোষণ চালিয়ে যাচ্ছে ও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এবং নির্বাচনব্যবস্থাকে একটি প্রহসনে পরিণত করে রেখেছে। এ অবস্থাকে অতি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এই লক্ষ্যে জনগণকে অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণকে সোচ্চার হতে হবে এবং নিজের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে নামতে হবে।

# ১৬/০২/২০২২, প্রেস বিজ্ঞপ্তি #