চলমান সংবাদ

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কারাদন্ড

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক এক কর্মকর্তার স্ত্রীকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আদালত ৬ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছর ৩ মাসের কারাদন্ড দেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডিত কোহিনূর বেগম চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক মাস্টার অপারেটর জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার স্ত্রী। তিনি নগরীর আগ্রাবাদের ইস্টার্ন ভিউ নামে একটি আবাসিক হোটেলের অন্যতম মালিক। রায় ঘোষণার সময় কোহিনূর বেগম কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দন্ডিত কোহিনুর বেগমকে সাজা পরোয়ানামূলে আদালত থেকে কারগারে পাঠানো হয়। দুদক’র আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, ২০ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একই আইনের ২৭ (১) ধারায় চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। উভয় সাজা যুগপৎভাবে চলবে। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ২০ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্র জানান, ২০০৯ সালের ২২ মার্চ সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য কোহিনুর বেগমকে নোটিশ দেয় দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ইস্টার্ন ভিউ আবাসিক হোটেল নির্মাণে ৩২ লাখ ২০ হাজা টাকা ব্যয় উল্লেখ করেন। কিন্তু দুদক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এর ব্যয় নির্ধারণ করে ৫২ লাখ ৮৩ হাজার ২২৪ টাকা। অবশিষ্ট ২০ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ উল্লেখ করে দুদক’র সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট নগরীর ডবলমুরিং থানায় কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণে দুদক নয়জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।
# ১৫.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #