চলমান সংবাদ

কেজিডিসিএলের সাবেক কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আনিছ উদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে অন্য ঠিকাদারি কোম্পানির ছদ্মাবরণে নিজ প্রতিষ্ঠানকে দশ তলা ভবনের কাজ পাইয়ে দেওয়া এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক ও মেসার্স রক প্রপার্টিজের পরিচালক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী রক প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিবন্ধিত ঠিকাদার ও মেসার্স রক প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেছার আহমদে এবং নিবন্ধিত ঠিকাদার নুর সিন্ডিকেটের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদকে। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজে লাভবান হয়ে অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৪(৩) ও ৬৩(৪) ভঙ্গ করে ‘নুর সিন্ডিকেট’ নামীয় প্রতিষ্ঠানের ছদ্মাবরণে ‘রক প্রপার্টিজ’ নামীয় প্রতিষ্ঠান নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়ে নির্মাণকাজে পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আত্মসাৎকরেন। এজাহারে আরও বলা হয়, ক্রয়কারী ও ঠিকাদার নিজেদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে যৌথ ও একক হিসাব খুলে তাতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ঘুষ’ এর মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরপূর্বক নয় কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। একইভাবে মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাকে মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী কামরুন নাহার (রক প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান) ও রক প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নেছার আহমদের যৌথ স্বাক্ষরে একটি হিসাবে চার কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৫ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন। এই দুজনের যৌথ স্বাক্ষরে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ব্যাংক হিসাবটি বন্ধ করতে বলেন তারা। দুদকে সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাক মো. আনিছ উদ্দিনের স্ত্রী কামরুন নাহারের এনআরবি কমা ছয়টি ব্যাংক হিসাবে (কমর্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের একটি হিসাব, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড এর চারটি হিসাব ও বেসিক ব্যাংকের একটি) জমা হওয়া এক কোটি ৭৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪ টাকা স্থিত আছে বলে জানা যায়, যদিও তার এই টাকার আয়ের কোনো উৎস পায়নি দুদকের অনুসন্ধান টিম। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডিবিধির ৪০৯, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

# ১৩.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #