চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিপুল পরিমান সরঞ্জাম উদ্ধার

একজনের দখলে ছিল ১৩৫০টি মোবাইল সিম, চলত ভিওআইপি ব্যবসা অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, মেসেঞ্জার ওটিটির মতো উন্নত প্রযুক্তি এখন দেশে ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হলেও কমেনি ভিওআইপির মাধ্যমে সাধারণ ফোনে কল আদান-প্রদান। ফলে বিদেশ থেকে টেলিফোন কল আসা ও যাওয়ার পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্খিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। নগরের বাকলিয়া থানাধীন আবু জাফর রোড ময়দার মিল ইয়ার আলী খান মসজিদের সামনে কাশেম ম্যানশনের একটি বাসা থেকে চলতো এই ধরনের অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত বদরুদ্দোজা (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমান ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ভিওআইপির ব্যবসায় জড়িত বদরুদ্দোজা একাই ১৩৫০টি সিম ব্যবহার করে ২০০৪ সাল থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল বলে জানায় র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, দেশে বর্তমানে বৈধ পথে আন্তর্জাতিক কল আসছে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় দুই কোটি মিনিট। এর মধ্যে ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ মিনিট কল আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল’র ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) দিয়ে, আর বাকিটা আসছে বেসরকারি আইজিডাব্লিউ অপারেটর ফোরাম (আইওএফ)-এর মাধ্যমে। অন্যদিকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট কল এখনো ভিওআইপির অবৈধ কারবারিদের মাধ্যমেই আসছে। র‌্যাব-৭’র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে সেটি বন্ধ করলেও আবারো শুরু হয়েছে এই ব্যবসা। সোর্সের মাধ্যমে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে আটক করে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বদরুদ্দোজা জানান, ভিওআইপি ব্যবসায় তার ছোট ভাই নুরুল হুদা রনিও জড়িত। দুই ভাই মিলে ২০০৪ সাল থেকে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছিলেন। বদরুদ্দোজার কাছ থেকে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কাজে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক তিনটি মেশিন, চারটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, আটটি রাউটার, ১ হাজার ৩৫০টি মোবাইল সিমসহ বিভিন্ন অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করে র‌্যাব। যার আনুমানিক মূল্য ৫৫ লাখ টাকা। গ্রেপ্তার বদরুদ্দোজাকে এবং উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। # ১১.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #