চলমান সংবাদ

রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে কাস্টমসের দুই কর্মকর্তা কারাগারে

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র কারাগারে সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে দুদুক’র দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। জাল নথি তৈরি করে আমদানি পণ্য খালাসের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে যাওয়া দু’জন হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) (সেকশন-বি) মো. রবিউল ইসলাম মোল্লা এবং (সাব-টিম ৩) রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। তবে মামলা দায়েরের পর রবিউল ইসলাম মোল্লা বরখাস্ত হন এবং নাসিরউদ্দিন মাহমুদ অবসরে যান। দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দুদক’র উপপরিচালক আবু সাঈদ সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১’এ ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকা সরকারি রাজস্ব আত্মসাতের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- নেপচুন ট্রেডিং এজেন্সির মালিক ইকবাল হোসেন মজুমদার ও বনলতা শিপিং এজেন্সির মালিক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী। তারা পলাতক আছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মেসার্স রয়্যাল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক নজরুল ইসলাম চীন থেকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী আমদানি করেন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসের লক্ষ্যে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য তিনি আমদানি সম্পর্কিত কাগজপত্র সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল হোসেন মজুমদারের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই আমদানি চালান নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। সিএন্ডএফ এজেন্ট ইকবাল আমদানিকারক নজরুল ইসলামের সম্মতি ছাড়াই বনলতা শিপিং এজেন্সির কাছে আমদানির সব নথিপত্র হস্তান্তর করেন। বনলতার মালিক মান্নান কাস্টম সার্ভারে বিভিন্ন এইচএস কোড আছে এমন ৪টি ইলেকট্রনিক্স আইটেম ঘোষণার পরিবর্তে চালানটিকে ‘ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টস’স হিসেবে ঘোষণা করেন। মামলায় বলা হয়, জাল কাগজপত্র তৈরি করে চালানটি খালাস করা হয়। অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তা কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে এবং চালানগুলোর কায়িক পরীক্ষা না করে খালাসে সহযোগিতা করেন। পরে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পারেন। কিন্তু জব্দের আগেই সেটি খালাস হয়ে যায়। দুদক তদন্তে ২৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫০২ টাকার আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পেয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দুদক’র আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর দুই আসামি উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আদালত তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী দু’জন আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’ এদিকে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী পৌরসভায় কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র সরোয়ার আজমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, সরোয়ার আজম পৌর মেয়র থাকাকালীন বাদশা মিয়া নামে এক ঠিকাদারকে কাজ না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রকল্পের সাড়ে ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এই অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। দুদক’র আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, কাজ না করে প্রকল্পের সাড়ে ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় মহেশখালীর সাবেক পৌর মেয়র সরোয়ার আজম বৃহস্পতিবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
# ২০.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #