জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারী শাখা জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সম্মেলন আজ সকাল ১০টায় জে এমসেন হলে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন শ্রম মন্ত্রণালয় বিষয়ক জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাংসদ শামসুন নাহার ভুঁইয়া। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নারী নেত্রী শিমু সাহা সভাপতিত্বে এবং সুমি আক্তারের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি শামসুন নাহার ভুঁইয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর দেশের মাটিতে পা রেখেই বংগবন্ধু বলেছিলেন ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তে অর্জিত এ বিজয় তখনি স্বার্থক হবে যদি এদশের গরীব মেহনতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা যাথাযথ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও শ্রমিকদের সংকট থাকা দুঃখজনক। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মাধ্যমে বংগবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে
বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রবীন শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ চৌধুরী, টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক এবং জাতীয় নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাহিদা পারভিন শিখা, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরী, টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান এবং অনুষ্ঠানে আগত নারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পোশাক শ্রমিক নেত্রী সুমি বেগম, নির্মান শ্রমিক নেত্রী রোকসানা বেগম ও ফরিদা বেগম, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়ন নেত্রী রাণী দত্ত, চা শ্রমিক নেত্রী শিখা আকুরে, প্রদীপ দাশ, মহিন উদ্দিন, মোঃ ফিরোজ, সবুজ হাওলাদার, আব্দুর রহিম, সুকান্ত দত্ত প্রমুখ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সুমি আক্তার এবং সম্মেলনের প্রস্তাব উত্থাপন কোহিনুর আক্তার কোলি।
সম্মেলনে সর্ব সম্মতিক্রমে শিমু সাহাকে সভাপতি, রুমি বড়ুয়াকে সাধারণ সম্পাদক এবং হামিদা বেগমকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি তপন দত্ত বলেন, জাতিসংঘ কর্তৃক ২০১৬ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার মূল স্লোগান হচ্ছে কাউকেই পেছনে ফেলে রাখা যাবেনা। কেননা সমাজে কোন গোষ্ঠী বা শ্রেণী পেছনে পড়ে থাকলে জাতীয় উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়।
তিনি গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, আইএলও কনভেশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসরন করে শ্রমিকদের অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার বাস্তবায়ন, নির্মান শ্রমিক সহ সকল অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের তালিকা করে একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্মেলনে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করা এবং বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারীদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবী জানানো হয়।
এছাড়া ডেকোরেটার্স শ্রমিকদের দৈনিক ৭০০ টাকা এবং কমিউনিটি সেন্টার শ্রমিকদের দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি নির্ধারনের দাবি জানানো হয়।
# ১৪/০১/২০২২, চট্টগ্রাম #