চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে চসিক আওতায় আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

চট্টগ্রাম নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সিটি করপোরেশনের (চসিক) আওতায় ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। চট্টগ্রামের নতুন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই অনুমোদন পাওয়া বড় কোনও প্রকল্প। মঙ্গলবার (৪ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। একনেক সভায় ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভ্ন্নি সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্পসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। চসিক মেয়র বলেন, একক ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) এটি সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পগুলোর সমন্বিত ব্যয় প্রায় ১১ হাজার ২১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বৈঠকে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- “মহিউদ্দিন সাহেবের সময় চট্টগ্রামে অনেক কাজ হয়েছে। সেই ধারা এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এসময় প্রধানমন্ত্রী নতুন মেয়রের প্রতি চট্টগ্রামের জন্য কাজ করার পরামর্শ দেন বলে জানান মান্নান। প্রকল্পটির অধীনে চট্টগ্রাম নগরীর ৭৬৯ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন, বিমানবন্দর সড়কে ৬০০ মিটার ওভার পাস নির্মাণ, ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ১৪টি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট এবং ১০টি গোল চত্বর নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন-চসিক’র প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “এরমধ্যে বিমানবন্দর সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ড্রাই ডক পর্যন্ত বিদ্যমান দুই লেনের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা হবে। সিমেন্ট ক্রসিং অংশে হবে ওভার পাসটি। প্রকল্পটির অধীনে নগরীর নতুন ও ইতোমধ্যে সংস্কার করা সড়ক অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গেছে, এ প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য দিক বিমানবন্দর সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা। অর্থাৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চার লেনে উন্নীত হবে বিমানবন্দর সড়ক। এছাড়া সড়কটিতে ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। বিমানবন্দর সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই বছরের ২১ আগস্ট নগর ভবনে চট্টগ্রাম বন্দরসহ ২১টি সেবা সংস্থার সঙ্গে চসিকের উদ্যোগে সভা হয়েছিল। এতে সব প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দর সড়ক সম্প্রসারণে একমত হয়। পরবর্তীতে জাইকার অর্থায়নে অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় সড়কটির সিমেন্ট ক্রসিং থেকে নেভি ফ্লোটিলা মোড় পর্যন্ত এবং বোট ক্লাব থেকে বাটারফ্লাই পার্ক পর্যন্ত চার লেইনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করে চসিক। বিদ্যমান প্রকল্পে নেভি ফ্লোটিলা মোড় থেকে ড্রাইডক ওমেরা পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার অংশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
# ৫/১/২০২২, চট্টগ্রাম#