চলমান সংবাদ

২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ

স্বাধীনতাবিরোধী বিষাক্ত মানুষগুলো এখনও ষড়যন্ত্র করছে- ডিআইজি বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। চট্টগ্রাম জেলা, মহানগর, পুলিশ ও নৌ-কমান্ডের ২৬৪ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয়া হয়। পুলিশের নিজস্ব পরিবহনে করে সংবর্ধিত ২৬৪ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে অনুষ্ঠানস্থলে আনা-নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) নগরীর হালিশহরস্থ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও আমাদের দেশ এখনো নিরাপদ নয়। স্বাধীনতা বিরোধী বিষাক্ত মানুষগুলো এখনো দেশ বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করছে। সুযোগ পেলেই যে কোন মুহুর্তে দেশে আঘাত হানতে পারে। তাদের থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে প্রস্তুত থাকতে হবে, স্বোচ্ছার থাকতে হবে। এখনও স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা বিতর্ক করে, তারা কারা আপনারা জানেন। স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে কোনও বিতর্ক নাই। তিনি বলেন, হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গেলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। তাই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রস্তুত থাকতে হবে। জেলা পুলিশ লাইন্সের সিভিক সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আজ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা যে কোনও কাজ করতে সাহস পাচ্ছি। যখন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় ছিল, তখন এ রকম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে সাহস পায়নি। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার ভাতা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনও অসহায় ও কষ্টে আছেন, তাদের সহয়তার চেষ্টা করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ইন্টিলেজেন্স) মো. সাইফুল ইসলাম, আর.আর.এফ চট্টগ্রামের কমান্ড্যান্ট (এসপি) এম এ মাসুদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এ.কে.এম সরোয়ার কামাল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডার আবু তাহের এলএমজি, হাটহাজারী উপজেলা কমান্ডার নূরুল আলম।

# ২২.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #