মুরাদ হাসান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
মুরাদ হাসান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি মুরাদ হাসান দেশত্যাগের উদ্দেশ্যে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে। তিনি ক্যানাডা যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মুরাদ হাসান রাত সাড়ে ন’টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে এসেছেন।

ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে তিনি ক্যানাডার ফ্লাইট ধরছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে মি: হাসানের বিদেশ যাওয়া নিয়ে গুঞ্জনের ব্যাপারে আজ ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মুরাদ হাসান বিদেশ যাবেন নাকি দেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার।

একইসাথে মি: খান বলেছেন, মি: হাসানের বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কিছু নেই।

বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কন্যাকে নিয়ে নারী-বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী মন্তব্য করা এবং ফাঁস হওয়া একটি টেলিফোন আলাপে একজন চিত্রনায়িকার সাথে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠার পর মুরাদ হাসানকে প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে।

নারী-বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী মন্তব্য করে পদত্যাগে বাধ্য হন মুরাদ হাসান।
নারী-বিদ্বেষী ও বর্ণবাদী মন্তব্য করে পদত্যাগে বাধ্য হন মুরাদ হাসান।

তিনি দেশ ছেড়ে ক্যানাডা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন – এটা নিশ্চিত করেছেন তার ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র।

তারা বলছে, মি: হাসান ইতোমধ্যে ক্যানাডায় তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন।

ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকায়ও খবর প্রকাশিত হয়েছে যে তিনি দু’একদিন মধ্যে ক্যানাডা যাওয়ার জন্য ফ্লাইটের টিকেট কেটেছেন।

মুরাদ হাসান এখন মন্ত্রী না থাকলেও এমপি রয়েছেন। ফলে লাল পাসপোর্ট তার আছে এবং তা নিয়ে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন।

মি. হাসান গত মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মি. হাসান লিখেছেলেন, কোন ভুল হয়ে থাকলে তাকে যেন ক্ষমা করা হয়।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে মি. হাসান লিখেছেলেন, কোন ভুল হয়ে থাকলে তাকে যেন ক্ষমা করা হয়।

বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে মুরাদ হাসানের মন্তব্যের ব্যাপারে সমালোচনার মধ্যেই একটি টেলিফোন আলাপ ফাঁস হয় গত রোববার।

তখন তীব্র নিন্দার মুখে তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যান।

এরপর গত সোমবার রাত প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

পরদিন মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠান এবং সেদিনই তিনি গোপনে ঢাকায় আসেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন।

পদত্যাগের পর মি. হাসান সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন এবং তাতে তিনি লিখেছিলেন, যদি তার কোন ভুল হয় তাহলে যেন ক্ষমা করা হয়।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা