চলমান সংবাদ

মারধরে চালক নিহতের অভিযোগে চার ঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রামে মারধরের জেরে মিনিবাসচালক নিহতের অভিযোগে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কে প্রায় চার ঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। শনিবার সকালে মিনিবাসচালক আব্দুর রহিম নিহতের অভিযোগে হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে পরিবহন চালক ও শ্রমিকেরা। পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতিতে তারা অবরোধ তুলে নেন। এর আাগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ৩ নম্বর সিটি সার্ভিসের চালক আব্দুর রহিমের। রহিমের বাড়ি রাউজানের গহিরা এলাকায়। রহিমের ভাতিজা মো. শাকিল বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ফতেয়াবাদ থেকে বাস নিয়ে চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটে যাওয়ার সময় বায়েজিদ থানা এলাকায় আতুরার ডিপোতে আমার চাচাকে কারা নাকি মারধর করছে। পরে রাত ১০টার দিকে চাচা চট্টগ্রাম মেডিকেলে মারা গেছেন। যারা মারছে তারা নাকি একটি নোহা গাড়ির যাত্রী ছিল বলে শুনছি। আমি আর কিছু জানি না।’ চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সন্ধ্যায় রাস্তায় সাইড দেয়া নিয়ে একটি নোহা গাড়ির যাত্রীরা রহিমকে প্রচণ্ড মারধর করে। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সার্কেল এসপি, ওসি ও আমরা গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দিই। এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করছি। হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাত হোসাইন বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে এসে অবরোধ তুলে নেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মারা গেছে শহরে, জানাজাও শহরে হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া রাউজানে লাশ দাফনের চেষ্টা করেছিল, আমরা দাফন বন্ধ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
# ২৭/১১/২০২১ চট্টগ্রাম #