চলমান সংবাদ

জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত, আজীবন আয়ের মানদন্ডে ক্ষতিপূরণ, আউট সোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী নিয়োগ, বন্ধ রাষ্ট্রীয় করাখানাসমুহ চালুসহ স্কপের ৯ দফা দাবিনামা শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছে দাখিল

জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, আই.এল.ও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন চর্চার সুযোগ নিশ্চিত করা, শ্রম আইন ও বিধিমালার শ্রমিক নিপীড়নের ধারা সমূহ সংশোধন, আইএলও কনভেনশন ১৩৮, ১৮২, ১৮৯ ও ১৯০ অনুসমর্থন, রাষ্ট্রীয় কল-কারখানাসমূহ রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় চালু, সকল ক্ষেত্রে আউট সোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী নিয়োগ চালু, আই.এল.ও কনভেনশন ১২১ অনুসারে আজীবন আয়ের মানদন্ডে ক্ষতিপূরণের হার নির্ধারণ, শ্রমিকদের জন্য রেশন ও আবাসন, অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের সুরক্ষা, শিল্প পুলিশের নিপীড়ন বন্ধসহ ৯ দফা দাবিনামা, গত ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার, বিকাল ৪টায়, শ্রম ভবনের কনফারেন্স হলে মাননীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এর হাতে তুলে দেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বরাবর দাবিনামা হস্তান্তরকালে উপস্থিত ছিলেন স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও কামরুল আহসান এবং স্কপ নেতা শহিদুল্লাহ চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, শাহ মোহাম্মদ জাফর, আব্দুল কাদের হাওলাদার, সাইফুজ্জামান বাদশা, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ডা:ওয়াজেদুল ইসলাম খান, চৌধুরী আশিকুল আলম, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া, নঈমুল আহসান জুয়েল, সাকীল আক্তার চৌধুরী, শামীম আরা, আহসান হাবিব বুলবুল, বাদল খান, নূরূল আমিন, আমিরুল হক আমিন, আব্দুল ওয়াহেদ, সুলতান আহম্মদ, শাকী রেজওয়ানা প্রমুখ।
দাবিনামা হস্তান্তরের পূর্বে নেতৃবৃন্দ মাননীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী কে স্মরণ করিয়ে দেন যে করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রমজীবী মানুষ। করোনার আঘাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রবল ঝাঁকুনি খেলেও এই দুঃসময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের ৬ কোটি ৮২ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে শ্রম দিয়ে এবং প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে অর্থনীতির গতিশীলতা সৃষ্টি করে রেখেছে। ফলে জাতীয় আয় বা জিডিপি এবং মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যানে গড় আয় বৃদ্ধিহলেও শ্রমিকদের জীবনে তার সুফল আসেনি বরং বাংলাদেশের শ্রমজীবীদেরকে এক অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলা হয়েছে। ফলশ্রæতিতে দেশের ধনী – গরীবের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপুল সংখ্যক শ্রমিক তাদের কাজ হারিয়েছেন , অনেকে বকেয়া মজুরী এবং আইনানুগ পাওনা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নেতৃবৃন্দ প্রত্যশাব্যক্ত করেন যে যেহেতু শ্রমজীবীদের স্বার্থ আর দেশের জনগণের সামগ্রিক স্বার্থ মুলত এক ও অভিন্ন এবং দেশের শ্রমজীবীর স্বার্থ রক্ষা করার অর্থই হচ্ছে দেশের সামগ্রিক স্বার্থ রক্ষা করা, তাই দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্যই মাননীয় মন্ত্রী স্কপ উত্থাপিত ৯ দফা বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।