চলমান সংবাদ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগে গুরুত্বারোপ চসিক মেয়রের

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের তাদের নিজদেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বুধবার (১৩ অক্টোবর) মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে মেয়র প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দেন। মেয়র বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘন জনবসতিপূর্ণ জনপদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন এবং তাদের লালন-পালনের জন্য বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এ পরিস্থিতি নিরসনের একমাত্র সমাধান হচ্ছে তাদের দ্রুত নিজ মাতৃভূমিতে প্রাপ্য মর্যাদা ও স্বীকৃতি অনুযায়ী প্রত্যাবাসন করা। মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত অকৃত্রিম আগ্রহে চট্টগ্রাম এখন বৈশ্বিক সম্পদে পরিণত হচ্ছে। কর্ণফুলী তলদেশ দিয়ে নির্মিত ট্যানেল চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এ পরিণত করতে যাচ্ছে। রেলপথ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারিত হলে মিয়ানমার হয়ে চীন পর্যন্ত যোগাযোগ সংযোগের দ্বার খুলে যাবে। মিরসরাই ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চমক দেখাবে। সমগ্র চট্টগ্রামই পর্যটন শিল্পের দ্যুতি ছড়াবে। আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) উপর জোর দিতে চাই। বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের চোখ চট্টগ্রামের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চট্টগ্রামে বিনিয়োগে আগ্রহী। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইসিটি ও পর্যটনখাতে বিনিয়োগে ও সম্ভাব্যতা যাচাই পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এখন যেভাবে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তাতে চট্টগ্রাম অচিরেই রিজিওন্যাল ও গ্লোবাল কানেক্টিভিটির কার্যকর যোগসূত্র হিসেবে সংযোজিত হবে। এখানে যে সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে উঠেছে তাতে বিশ্বের বড় বড় অর্থনৈতিক শক্তির অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তার ইতিবাচক প্রভাব শুধু বাংলাদেশ বা অঞ্চলগত নয়, বৈশ্বিকভাবে প্রতিফলিত হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাউন্সিলর ফর পলিটিকেল এন্ড ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স স্কট এ ব্র্যান্ডন, ইকোনোমিক এন্ড কর্মাশিয়াল স্পেশালিষ্ট শাহীনুর সিকদার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতি: প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী প্রমুখ।
# ১৪.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #