চলমান সংবাদ

টাকা আত্মসাতের পর ছিনতাইয়ের নাটক, অতঃপর ধরা

রিয়াজউদ্দীন বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. মহিউদ্দিন বাকি টাকায় পণ্য বিক্রি করেন। দীর্ঘদিনের বিশ্বাসের সুবাধে তার বিশ্বস্ত কর্মচারি মো. আলাউদ্দিনকে (৪২) কক্সবাজারের রামুতে পাঠান বাকিতে পণ্য বেচা ৮০ হাজার টাকা আনতে। কিন্তু মালিকের মাত্র ৮০ হাজার টাকার লোভ সামলাতে পারেনি কর্মচারি আলাউদ্দিন। রামু থেকে সংগ্রহ করে আনা ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করতে সাজান ছিনতাইয়ের নাটক। বিশ্বাস করাতে হাতে বাঁধেন ব্যান্ডেজ। দোকানের আরেক কর্মচারী পলাশকে সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনোমতে ছিনতাই নাটক মালিককে বুঝিয়ে সটকে পড়ে আলাউদ্দীন। দুই কর্মচারীর এমন কাণ্ডে হতবাক ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন অভিযোগ নিয়ে দ্বারস্থ হন কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে। অভিযোগের একদিনের মাথায় কোতোয়ালী থানা পুলিশ নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন (৪২) ভোলার গজারিয়া আমিন উদ্দিন হাজী বাড়ির তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। আর পলাশ একই জেলার উত্তর দিঘলদী দরবেশের বাড়ির জাহাঙ্গীর দরবেশের ছেলে। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন কাজ করায় দোকান মালিক মো. মহিউদ্দিন তার দুই কর্মচারি আলাউদ্দিন ও পলাশকে খুব বিশ্বাস করতেন। তাই গত ৩ অক্টোবর বাকিতে পণ্য বিক্রির ৮০ হাজার টাকা আনতে কক্সবাজারের রামুতে পাঠান আলাউদ্দিনকে। আলাউদ্দিন সেখানে গিয়ে শুক্কুর সওদাগর নামে পাওনাদারের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহও করেন। তারপর আলাউদ্দিন চট্টগ্রামে ফিরে নগরে আলকরণ এলাকা থেকে মারধর করে টাকা নিয়ে গেছে বলে তার মালিককে জানান। ছিনতাইয়ের বিষয়টি প্রমাণ করতে আলাউদ্দীন তার হাতের কিছু জায়গায় কেটে উপরে ব্যান্ডেজ পরে। কিন্তু দোকান মালিকের বিষয়টি সন্দেহ হলে তিনি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করার পর তাদের লুঙ্গির ভেতর গোজানো অবস্থায় ৪০ হাজার করে মোট ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, দোকান মালিক মো. মহিউদ্দিনের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দোকানের দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে আত্মসাত করা ৮০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
# ০৫।১০।২০২১ চট্টগ্রাম #